ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস পরিচালিত গাজা ভূখণ্ডের সরকার জানিয়েছে, জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলের হামলায় ১৯৫ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এ হামলা যুদ্ধাপরাধ হতে পারে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইসরায়েলি বোমায় বিধ্বস্ত গাজায় আটকে পড়া আরও অনেক বিদেশি নাগরিক বৃহস্পতিবার অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটি ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

এর আগে ইসরায়েল, মিসর ও হামাসের মধ্যে হওয়া চুক্তির আওতায় বুধবার প্রায় ৮৮ জন গুরুতর আহত গাজাবাসী ফিলিস্তিনি এবং ৫০০ জনের প্রাথমিক তালিকায় থাকা অন্তত ৩২০ জন বিদেশি নাগরিক সীমান্ত পার হয়ে মিসরে প্রবেশ করেন।

এদিন গাজা থেকে যাঁরা মিসরে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, চেক রিপাবলিক, ফিনল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, জর্ডান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারীরা ছিলেন।

গাজার সীমান্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আরও বিদেশিরা যেন গাজা ছাড়তে পারেন, তার জন্য বৃহস্পতিবার রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংটি আবার খোলা হবে।

একজন কূটনীতিক রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ বিদেশি পাসপোর্টধারী গাজা ছাড়তে পারেন।

৭ অক্টোবর হামাসের ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা গাজার সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে সবাইকে হতবাক করে দেয়। ইসরায়েল জানিয়েছে, এই হামলায় ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছে। যাদের অধিকাংশ বেসামরিক আর হামাসের যোদ্ধারা ২০০ জনের বেশি মানুষকে ধরে নিয়ে গিয়ে বন্দী করে রেখেছে।

এরপর থেকে হামাসকে নির্মূল করার প্রত্যয় নিয়ে গাজায় স্থল, জলপথ ও আকাশপথে ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩ হাজার ৬৪৮ শিশুসহ অন্তত ৮ হাজার ৭৯৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা মঙ্গলবার ও বুধবার গাজার বৃহত্তম শরণার্থীশিবির জাবালিয়ায় হামলা চালিয়ে হামাসের দুই সামরিক নেতাকে হত্যা করেছে।

ইসরায়েল অভিযোগ করে বলেছে, শরণার্থীশিবিরটির বেসামরিক ভবনগুলোতে, সেগুলোর চারপাশে ও নিচে হামাসের কমান্ড সেন্টার ও অবকাঠামো ছিল, তারা সচেতনভাবে গাজার বেসামরিকদের বিপদগ্রস্ত করেছে।