পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি

অবশেষে ইরাকে সামরিক মিশন শেষ করার ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকে আগ্রাসনের দুই দশকের কাছাকাছি সময় পর ওয়াশিংটন এমন ঘোষণা দিল। ঘোষণা অনুযায়ী চলতি বছরই ইরাকে সামরিক মিশন শেষ করবে পেন্টাগন।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে প্রথম আলোর খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, গত জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-ইরাক কৌশলগত সংলাপের সময় যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা বজায় রাখবে ওয়াশিংটন। এ প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইরাকে মার্কিন বাহিনী আর সামরিক ভূমিকায় থাকবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন গতকাল বাহরাইনে ইরাকের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জুমা ইনাদ সাদুন আল-জাবুরির সঙ্গে বৈঠক করেন। বাহরাইনে অনুষ্ঠিত মানামা সংলাপের ফাঁকে এ বৈঠক হয়। বৈঠকের পর পেন্টাগন বিবৃতি দিল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অস্টিন ইরাকি প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে নিশ্চিত করেছেন যে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে সমর্থন-সহায়তা করার জন্য দামেস্কের আমন্ত্রণে সে দেশে মার্কিন বাহিনী থাকবে।

পেন্টাগনের বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় পক্ষ ইরাকে মার্কিন সামরিক মিশনের পরবর্তী ধাপ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করেছে। এ আলোচনার মধ্যে রয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করার লক্ষ্যে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ, সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি করে নেওয়া।

ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কাছে গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র রয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে জর্জ বুশের যুক্তরাষ্ট্র ২০০৩ সালে ইরাকে হামলা চালায়। যদিও পরে ইরাকে সেই অস্ত্রের অস্তিত্ব মেলেনি।