করোনাভাইরাস I প্রতীকী ছবি

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে প্রায় দুই বছর হতে চলল। এত দিন দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ টোঙ্গা ছিল করোনামুক্ত। কিন্তু ৩০ অক্টোবর (শুক্রবার) দেশটিতে প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই অবস্থায় টোঙ্গা কর্তৃপক্ষ ব্যাপক হারে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনার পাশাপাশি দেশজুড়ে লকডাউনের কথা ভাবতে শুরু করেছে। খবর সিএনএনের।

টোঙ্গার প্রধানমন্ত্রী পোহিভা টু’ই’ওয়ানটোয়া ৩০ অক্টোবর বলেন, দেশে করোনার প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। রোগী সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড থেকে টোঙ্গায় এসেছেন।

নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ওই রোগী নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ থেকে ২৭ অক্টোবর টোঙ্গায় পৌঁছান। তিনি করোনার টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েছিলেন। উড়োজাহাজে ওঠার আগে তাঁর করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছিল। হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় তাঁর করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

প্রধানমন্ত্রী পোহিভা টু’ই’ওয়ানটোয়া জানান, নিউজিল্যান্ড থেকে আসা ওই ফ্লাইটের যাত্রীদের সংস্পর্শে আসা বিমানবন্দরের সব কর্মীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন দেওয়া হতে পারে বলেও এ সময় তিনি ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, ‘আরও সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার আগে আমাদের প্রস্তুত হওয়ার সময় প্রয়োজন। আর সে কারণেই লকডাউনের কথা ভাবা হচ্ছে।’

পরে টোঙ্গার স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমেলিয়া টু’ইপুলোটু বলেন, দেশের ৮৬ শতাংশ মানুষকে করোনার প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৬২ শতাংশ। আরও মানুষ টিকা নিতে শুরু করেছেন। এতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার হবে।

পলিনেশিয়ার দেশ টোঙ্গা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১৭০টির বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। ফিজি থেকে এই দেশটি ৮০০ কিলোমিটার উত্তরে, আর নিউজিল্যান্ড থেকে ২ হাজার ৩৮০ কিলোমিটার দূরে। টোঙ্গার জনসংখ্যা প্রায় এক লাখ। এই প্রথম টোঙ্গায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হলেও ২০২০ সালের মার্চে দেশটি জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে এবং বিদেশি নাগরিকদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেয়।