পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপনির্বাচনে জয় পেয়েছেন। এই জয়ে ফলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব টিকে গেল তাঁরা। আজ রোববার দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। তাতে দেখা যায়, বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের টানা তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। খবর প্রথম আলোর।
তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ৮২ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াংকা টিবরেওয়াল পেয়েছেন ২৫ হাজারের বেশি ভোট। গত বৃহস্পতিবার ভবানীপুর উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়।
আজ রোববার স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। ভোট গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন মমতা। গণনা যত এগোয়, মমতার ভোটের ব্যবধান তত বাড়ে। মোট ২১ রাউন্ড ভোট গণনা হয়। গণনা শেষে মমতা ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটের ব্যবধানে জয় পান।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার এবারের নির্বাচনে মমতা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর কাছে ১ হাজার ৯৫৬ ভোটে পরাজিত হন মমতা।
নন্দীগ্রামে মমতা হেরে গেলেও সংবিধান মেনে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করে। সাংবিধানিক বিধি হলো ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে রাজ্যের যেকোনো একটি বিধানসভা আসন থেকে জিতে আসতে হবে।
মমতাকে ভবানীপুর আসন থেকে জেতানোর লক্ষ্যে সেখানকার নির্বাচিত তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন। এতে ভবানীপুর আসনটি শূন্য হয়। সেই আসনের উপনির্বাচনে লড়েন মমতা। এই আসনে ২০১১ ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা জয়ী হয়েছিলেন। উপনির্বাচনে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে মূল লড়াই হয় তৃণমূল প্রার্থী মমতার সঙ্গে বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াংকার।