গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

‘জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলন কপ-২৬’ ও অন্য কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই সপ্তাহের সফরে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বার্তা সংস্থা বাসসের খবরে জানানো হয়, ‘ইউনেসকো-বাংলাদেশ, সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ এবং ইউনেসকোর ৭৫তম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন তিনি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট রোববার সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়।

রোববার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) গ্লাসগোর প্রেস্টউইক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে ফ্লাইটটির।

গ্লাসগোতে অবস্থানকালে, ১ নভেম্বর (সোমবার) সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্কটিশ ইভেন্ট ক্যাম্পাসের কমনওয়েলথ প্যাভিলিয়নে ‘সিএফভি- কমনওয়েলথ হাই লেভেল প্যানেল ডিসকাশন অন ক্লাইমেট প্রসপারিটি পার্টনারশিপ’ শীর্ষক একটি সাইড ইভেন্টে যোগ দেবেন।

শেখ হাসিনা কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসির সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কপ-২৬-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং ভাষণ দেবেন। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায় রাজাপাকসের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি।

এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ প্যাভিলিয়নে ‘অ্যাকশন এন্ড সলিডারিটি- দ্য ক্রিটিক্যাল ডিকেড’ শীর্ষক বৈঠকে অংশ নেবেন। একই দিন বিকেলে বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘কপ-২৬’-এর ভিভিআইপি সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। সন্ধ্যায় স্কটল্যান্ডপ্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করবেন।

২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্কটিশ প্যাভিলিয়নে ‘ওমেন এন্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের সভায় অংশ নেবেন।

ওই দিন দুপুরে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথ সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। বিকেলে প্রিন্স চার্লস তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

এরপরেই ইউকে সভাকক্ষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এদিন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।

তিনি সভাকক্ষ-৪ এ ‘ফোর্জিং এ সিভিএফ কপ ২৬ ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি প্যাক্ট’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টে অংশগ্রহণ করবেন।

এরপরই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘ওয়াল্ড লিডার্স সামিট’-এর সমাপনী পর্বে অংশগ্রহণ করবেন।

সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা স্কটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার অ্যালিসন জনস্টোন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এরপর স্কটিশ পার্লামেন্টে ‘এ বাংলাদেশ ভিশন ফর গ্লোবাল ক্লাইমেট প্রসপারিটি’ শীর্ষক ভাষণ দেবেন।

৩ নভেম্বর (বুধবার) স্থানীয় সময় দুপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সফরসঙ্গীরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে গ্লাসগো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

ওই দিন লন্ডনে পৌঁছার পর ব্রিটিশ পার্লামেন্টের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোইলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

প্রধানমন্ত্রী সেখানে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১: বিল্ডিং সাসটেইনেবল গ্রোথ পার্টনারশিপ’, লন্ডনে বসবাসরত বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের নাগরিক সংবর্ধনাসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

৯ নভেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্যারিসের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করবেন।

শেখ হাসিনা ওই দিন এলিসি প্যালেসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। একই দিনে তিনি ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জিন কাস্টেক্সের সঙ্গে ফ্রান্সের সরকারি বাসভবন ম্যাটিগননে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইউনেসকো সদর দপ্তরে ‘ইউনেসকো-বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর দ্য ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এবং একই স্থানে ইউনেসকোর ৭৫তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।

শেখ হাসিনা আগামী ১৩ নভেম্বর ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের দেওয়া সংবর্ধনায় ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী ১৩ নভেম্বর ঢাকার উদ্দেশে প্যারিস ত্যাগ করবেন এবং ১৪ নভেম্বর সকালে ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।