ইউক্রেনের খাদ্যশস্যবোঝাই জাহাজ। ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেন চলতি মাসে যে পরিমাণ খাদ্যশস্য রপ্তানি হচ্ছে, তা প্রায় রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর আগের মতো।

খাদ্যসংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার এটি একটি বড় জয়।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বাসসের।

গম, ভুট্টা, বার্লি ও সানফ্লাওয়ার তেলের বিশ্বের বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশগুলোর অন্যতম ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ লাখ টন খাদ্যশস্য রপ্তানি করত।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আগ্রাসন শুরুর পর তাদের খাদ্যশস্য রপ্তানি জটিলতার মুখে পড়ে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসামগ্রীর দাম অনেক বেড়ে যায়। এতে বিশেষ করে বিশ্বের গরিব দেশগুলো চরম কষ্টের মুখে পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, জোরালো আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সুবাদে ইউক্রেন ফের রপ্তানি শুরু করায় আগস্টে তারা ৪০ লাখ টন কৃষিপণ্য রপ্তানি করে।

তুরস্ক ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মধ্যস্থতায় জুলাইয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধকালীন প্রথম একটি চুক্তিতে পৌঁছায়। এ চুক্তির আওতায় ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগরীয় বন্দরগুলো থেকে জাহাজ চলাচলের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।