খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন, বিপিএম (বার) যশোর পুলিশ লাইনস মাঠে প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন, বিপিএম (বার) যশোর পুলিশ লাইনস মাঠে প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেছেন। ২৬ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সকালে এই প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্যারেড কমান্ডার হিসেবে প্যারেড পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, “ক” সার্কেল, যশোর মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন। প্যারেড পরিদর্শন শেষে ডিআইজি খ. মহিদ উদ্দিন উপস্থিত সব অফিসার ও ফোর্সের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

পরে ডিআইজি পুলিশ লাইনসে আয়োজিত জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম।

সূত্র জানায়, প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি খঃ মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের বৃহত্তর পাঁচটি জেলার মধ্যে যশোর হলো অন্যতম একটি জেলা। আমি এখন সেই জেলায় দাঁড়িয়ে আপনাদের সামনে কথা বলছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ (আইজিপি) দায়িত্বভার গ্রহণের পরপরই বাংলাদেশ পুলিশকে একটা জায়গায় তুলে নেওয়ার জন্য এক মহতি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, আর সেই যুদ্ধে আমরা সহযোদ্ধা।’

ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভায় যোগ দেন। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

ডিআইজি এ সময় আইজিপির দেওয়া পাঁচ নীতির কথা উপস্থিত সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, কোনোভাবেই সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণ হওয়া যাবে না। মাদকের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা থাকবে।

এরপর ডিআইজি জেলা পুলিশের রির্জাভ অফিস বার্ষিক, হিসাব শাখা ষান্মাসিক, “ক” সার্কেল, অফিস দ্বি-বার্ষিক এবং কোতয়ালী মডেল থানা দ্বি-বার্ষিক পরিদর্শন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার “ক” সার্কেল মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার “খ” সার্কেল মুকিত সরকার, যশোর, নাভারন সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, মনিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশেক সুজা মামুন, আরআই পুলিশ লাইনস, জেলার সব থানার অফিসার ইনচার্জ, ডিআইও-১, অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন), ওসি, শহর ও যানবাহন শাখা, ওসি রেশন স্টোর, জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাসহ অফিসার ও ফোর্সরা।