নড়াইলে দুটি ইভ টিজিংয়ের ঘটনায় জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ ৪ ইভ টিজারকে আটক করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একজন স্কুলছাত্রীর মা নড়াইল সদরের বাঘডাঙ্গা থেকে আজ বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে কল করে জানান, তাঁর এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে (১৬) স্কুলে যাওয়ার পথে কিছু বখাটে ছেলে ইভ টিজিং করেছে।

তিনি জানান, এই বখাটেরা প্রায়ই তাঁর মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করে। তিনি এ ব্যাপারে আইনি সহায়তার জন্য অনুরোধ জানান।

৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মো. তুহিন কলটি রিসিভ করেছিলেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে নড়াইল সদর থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

খবর পেয়ে নড়াইল সদর থানার একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসীর সহায়তায় ইভ টিজিংয়ের দায়ে ইজাজুল (১৯), মিরাজুল (২৩), ইসমাইলকে (২০) আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অভিযুক্তদের পরে নড়াইল সদর উপজেলার ইউএনওর ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত অভিযুক্ত মিরাজুলকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। বাকি দুজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।

এর আগে অপর এক ইভ টিজিংয়ের ঘটনায় আরেকটি ফোনকল আসে নওগাঁর মান্দা থানাধীন গণেশপুর ইউনিয়নের পারোলি থেকে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে তিনটায় ৯৯৯ নম্বরে একজন কলার ফোন করে জানান, তাঁদের গ্রামের একটি ছেলে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ছাত্রীদের প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে। আজ তাঁরা কিছু অভিভাবক মিলে ছেলেটিকে ধরে আটকে রেখেছেন। তিনি এ ব্যাপারে আইনি সহায়তার জন্য অনুরোধ জানান।

৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল নুর মোহাম্মদ কলটি রিসিভ করেছিলেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মান্দা থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

খবর পেয়ে মান্দা থানার একটি দল দ্রুততম সময়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং ঘটনাস্থল থেকে ইভ টিজিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত আক্কাসকে (২২) আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পরে তাঁকে মান্দা উপজেলার ইউএনওর ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত অভিযুক্তকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।