জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে এক নারীর ফোন কলে নারায়ণগঞ্জ থেকে নিখোঁজ এক কিশোরীকে চলন্ত বাস থেকে উদ্ধার করেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানা-পুলিশ। এ সময় ওই কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জাতীয় জরুরি সেবার মুখপাত্র পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার স্বাক্ষরিক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৭ অক্টোবর (বুধবার) ভোররাত সোয়া তিনটায় ৯৯৯-এ ফোন করেন নারায়ণগঞ্জের এক নারী। তিনি জানান, তাঁর ১৫ বছর বয়সী ভাগনি বাসা থেকে রাগ করে ২৬ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে বের হয়ে যায়। এরপর তারা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাননি এবং ভাগনির মুঠোফোনটিও বন্ধ পাচ্ছিলেন। কিছু আগে ওই কিশোরী তাঁদের ফোন করে জানিয়েছে, সে একটি বাসে আছে, যা সকাল ছয়টায় বরগুনা পৌঁছাবে। ওই নারীর আশঙ্কা হয়, তাঁর ভাগনিকে কেউ অপহরণ করেছে।

এরপর ৯৯৯-এর কলটেকার ওই নারীর কাছ থেকে তাঁর ভাগনির ফোন নম্বর নিয়ে ফোন করেন। কিন্তু ওই কিশোরী ঠিকমতো কথা বলতে পারছিল না। এরপর অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারী কিশোরীর ফোন নিয়ে অস্পষ্ট কিছু কথা বলে ফোনের সংযোগ কেটে দেন। এরপর আবার ৯৯৯ থেকে কিশোরীর নম্বরে ফোন করে বাসের সুপারভাইজারকে ফোন দিতে বলা হয়। সুপারভাইজারের কাছ থেকে বাসের নম্বর ও অবস্থান জেনে ফরিদপুর জেলা পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বিষয়টি জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা-পুলিশের একটি দল থানা এলাকার পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে অবস্থান নেয়। তারা ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী একটি বাস থামিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার এবং তাকে অপহরণের অভিযোগে মাজেদা আক্তার (৪০) নামের এক নারীকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরী জানিয়েছে, সে বাসা থেকে বের হওয়ার পর অভিযুক্ত নারীর সঙ্গে তার দেখা হয়। ওই নারী কিশোরীটিকে চকলেট খেতে দেয়। এরপর অচেতন হয়ে পড়ে কিশোরী। চেতনা ফিরলে সে দেখতে পায়, সে মিরপুর চিড়িয়াখানার সামনে। এরপর তাকে গাবতলী বাস টার্মিনালে নিয়ে বাসে করে বরগুনা নেওয়া হচ্ছিল।

এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ওই কিশোরীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।