৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রাঙামাটির কাপ্তাই থেকে একদল পর্যটককে উদ্ধার করেন পুলিশ সদস্যরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে বিপদে পড়া আট পর্যটককে উদ্ধার করেছে বরকল থানা-পুলিশ। এদিকে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালানো ১৯ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানা-পুলিশ।

জাতীয় জরুরি সেবার জনসংযোগ বিভাগের মুখপাত্র পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছয়জন শিক্ষার্থীসহ আটজনের একটি দল ৭ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে রাঙামাটি ভ্রমণে যায়। শুভলং ঝরনা এলাকা থেকে দুপুর ১২টায় তারা রাঙামাটি সদরের উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু পথে কাপ্তাই লেকের কচুরিপানার জঞ্জালে পর্যটকবাহী ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি আটকা পড়ে। বিকেল পর্যন্ত চেষ্টা করেও উদ্ধার না পাওয়ায় ৯৯৯-এ ফোন করেন রিয়াদ জিলানী নামের একজন পর্যটক। খবর পেয়ে বরকল থানার জারুলছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ সদস্য গিয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় কচুরিপানাগুলো পরিষ্কার করেন। এরপর ওই পর্যটকদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় ক্লান্ত-ক্ষুধার্ত ওই পর্যটকদের খাবার ও পানীয় দেন পুলিশ সদস্যরা। রাত ৯টায় তাদের রাঙামাটিতে পুলিশের পরিচালনাধীন পলওয়েল পার্কে নেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ফৌজদারহাটের উত্তর সলিমপুর থেকে এক ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, নারী-শিশুসহ ১৫-২০ জনের একটি রোহিঙ্গা দল নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালিয়ে এসেছে। সংবাদ পেয়ে সীতাকুণ্ড থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৯ রোহিঙ্গাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ওই রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, তারা ভাসানচর থেকে সাগরপথে মাছ ধরার ট্রলারে করে সীতাকুণ্ড পৌঁছায়। তারা কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে যেতে চেয়েছিল।