পুলিশি হেফাজতে আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

বগুড়ায় গৃহবধূ তাসলিমা আক্তার (২৩) হত্যার খবর পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন করেছে জেলা পুলিশ। ঘটনায় জড়িত একমাত্র আসামি মো. শাকিব উদ্দিনকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি, একটি ইজিবাইক, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন। পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রতিবেশী তাসলিমাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন আসামি।

বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম, পিপিএম জানান, শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাতে বগুড়া সদর থানাধীন রাজাপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে আসামি শাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি জানান, বছর পাঁচেক আগে ভুক্তভোগী তাসলিমার সঙ্গে বগুড়া সদর থানাধীন নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার মো. সিরাজুল ইসলামের বিয়ে হয়। কাজিম নামে তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে তাঁদের। প্রতিদিনের মতো গত ১৯ অক্টোবর নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যান সিরাজুল। বাড়ি ফিরে সিরাজুল দেখতে পান, ঘরে তাসলিমার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে। এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় মামলা করা হয়।

তদন্তের এক পর্যায়ে তথ্য, প্রযুক্তি ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জেলা পুলিশ জানতে পারে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভুক্তভোগী তাসলিমার প্রতিবেশী শাকিব জড়িত। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে আসামি শাকিবকে গ্রেপ্তার করেন ডিবি ও সদর থানার সদস্যরা। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় তাসলিমার ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি।

আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ সুপার জানান, শাকিব পেশায় ইজিবাইকচালক। গত ১৯ অক্টোবর ইজিবাইকে যাত্রী নিয়ে নিশিন্দারায় পৌঁছান শাকিব। পথিমধ্যে ইজিবাইকের মাডগার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় ইজিবাইক নিয়ে প্রতিবেশী তাসলিমার শ্বশুরবাড়িতে যান তিনি। এরপর তাসলিমার কাছ থেকে হাতুড়ি নিয়ে মাডগার্ডটি মেরামত করেন। এ সময় শাকিবের কাছে পাওনা ১০ হাজার টাকা দাবি করেন তাসলিমা। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতুড়ি দিয়ে তাসলিমার মাথায় আঘাত করেন শাকিব। এতে রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান তাসলিমা। পরে তাসলিমার ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।