ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরকেন্দ্রিক নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে রোববার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার)। ছবি : ডিএমপি নিউজ

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীজুড়ে নিশ্ছিদ্র ও সুসমন্বিত নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার)।

ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরকেন্দ্রিক নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা জানান। খবর ডিএমপি নিউজের।

১৫ আগস্ট কালরাতে শাহাদত বরণকারী জাতির পিতাসহ সব শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগস্ট আমাদের শোকের মাস। আমাদের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এটি অত্যন্ত কষ্ট ও শোকের সঙ্গে পালনের জন্য ঢাকার হাজার হাজার মানুষ এই ৩২ নম্বরে আসে। স্বাধীনতাযুদ্ধের অব্যবহিত পূর্বে মানুষের ঠিকানা ছিল এই ৩২ নম্বর। ঠিক একইভাবে এই শোক দিবসে সমস্ত মানুষের ঠিকানা হয় ৩২ নম্বর।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা। বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও বনানী কবরস্থান পুরো এলাকা থাকবে সিসিটিভির আওতায়, যা লাইভ মনিটরিং হবে। ধানমন্ডি ৩২ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা প্রত্যেককে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি চেকপোস্ট ও আর্চওয়ে গেটের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সম্মানিত নগরবাসীকে কর্তব্যরত পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, বনানী কবরস্থানসহ জনসমাগম হওয়ার সম্ভাব্য স্থানে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ও সাদাপোশাকেও মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ। মেটাল ডিটেক্টর ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এবং বনানীর কবরস্থান সুইপিং করা হবে।

ধানমন্ডি লেকে থাকবে নৌ পুলিশ ও নৌবাহিনীর টহল বোট। যেকোনো পরিস্থিতি সরেজমিনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অস্থায়ী সাব-কন্ট্রোল রুমে সিনিয়র অফিসাররা সার্বক্ষণিক অবস্থান করবেন।

জাতীয় শোক দিবসে নিরাপত্তার স্বার্থে ধানমন্ডি ৩২ ও বনানী কবরস্থান-সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত হোটেল, গেস্টহাউস এবং মেসগুলোতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কোনো প্রকার ব্যাকপ্যাক বা টিফিন ক্যারিয়ার না নিয়ে আসার অনুরোধ করেন তিনি।

ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান বিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম-বার, পিপিএমসহ যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ও উপ-পুলিশ কমিশনারগণ।