চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশের সাইবার ক্রাইম 0 সেল স্মার্টফোন এবং বিকাশে ভুল ডিজিটজনিত কারণে খোয়া যাওয়া ৮২ হাজার টাকা উদ্ধার করে তা বৃহস্পতিবার প্রকৃত মালিকদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। ছবি: চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল-মামুনের দিক-নির্দেশনায় জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল বিভিন্ন মডেলের নয়টি স্মার্টফোন এবং বিকাশে ভুল ডিজিটজনিত কারণে খোয়া যাওয়া ৮২ হাজার টাকা উদ্ধার করে তা বৃহস্পতিবার প্রকৃত মালিকদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ সময় হারানো মোবাইল ও টাকা হাতে পেয়ে আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েন সেবা গ্রহীতারা। হারানো ফোনের মালিক দামুড়হুদা থানাধীন কোমরপুর গ্রামের রিপন আলী বলেন, ‘আমার মোবাইল ফোনটি হারিয়ে ফোনের আশা এক প্রকার ছেড়েই দিয়েছিলাম। আমার শখের মোবাইল ফোনটি পুলিশ সুপার ও সাইবার টিমের আন্তরিকতায় এত দ্রুত ফিরে পাবো ভাবতে পারিনি।’ চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলে কর্মরত সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

ইতোমধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বমহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, চুয়াডাঙ্গা। সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, বিকাশ-নগদ-রকেট প্রতারণা, মোবাইল উদ্ধার, অনলাইন প্রতারণাসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতারণার শিকার ও ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন ধরনের আইনগত পরামর্শ ও নিরবচ্ছিন্ন সেবাদান করে চলেছে। সাইবার হয়রানি রোধে সার্বক্ষণিক সাইবার প্যাট্রোলিং অব্যাহত রেখেছে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্কুল-কলেজে উপস্থিত হয়ে উঠতি বয়সী কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও চ্যাটিং অ্যাপস সমূহের সঠিক ব্যবহার, হয়রানির শিকার হলে দ্রুত সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের আইনি সেবা গ্রহণসহ অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বোঝানো হচ্ছে। যেকোনো ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরামর্শ, সেবা ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলে কর্মরত চৌকস অফিসারগণ তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মোবাইল ফোন এবং বিকাশে ডিজিট ভুল হয়ে খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করে।