গ্রেপ্তার আসামি রুবেল আহমেদ। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

পাবনার ঈশ্বরদী পৌরসভায় স্ত্রীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বামী রুবেলকে গ্রেপ্তার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।

ঈশ্বরদী পৌরসভার পশ্চিমটেংরী এলাকার জনৈক একরাম আলী ওরফে বুদু ডাক্তারের বাড়ির দোতলায় পশ্চিম অংশের ফ্ল্যাটে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

জানা গেছে, ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার সোনিয়ার সঙ্গে সাত বছর আগে একই এলাকার রুবেল আহমেদের বিয়ে হয়।
হামিন (৬) নামে তাদের একটি পুত্র সন্তান আছে। দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সংসারে টানাপোড়ন ছিল। অভাব- অনটনের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষে রুবেল সৌদি আরব যান। এর মধ্যে সোনিয়া পাকশি ইপিজেডে চাকরি নেন। তাদের মধ্যে ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। রুবেল সন্দেহ করতে থাকেন যে, তার স্ত্রী সোনিয়া নিশ্চয় কোনো পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েছেন। সেই ভাবনা থেকেই রুবেল গত ২৮ সেপ্টেম্বর সৌদিআরব থেকে ঢাকায় চলে আসেন। স্ত্রী সোনিয়া ছেলে হামিনসহ তাকে এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে এসে ওইদিনই ঈশ্বরদীর বাবু পাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় উঠেন।

২৮ সেপ্টেম্বর রাতে সোনিয়ার ফোনে একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল আসাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে তুমুল ঝগড়া বিবাদ শুরু হলে রান্নাঘরে রাখা বটি দিয়ে রুবেল তার স্ত্রীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ছেলে হামিনকে নিয়ে পালিয়ে যান।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার এবং এসআই সুব্রত ঘোষের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ডের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানা এলাকা থেকে আসামি রুবেলকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের শিশু সন্তান হামিনকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে আসামির দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি উদ্ধার করা হয়।

আসামিকে আদালতে পাঠানো হলে তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ।