যশোরের শার্শায় চাল চুরির ঘটনায় ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ১০ জন। ছবি: যশোর জেলা পুলিশ

গত ১৮ জুলাই রাত আনুমানিক ১১টার দিকে মামলার বাদী তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালা বন্ধ করে নিজ বাড়ি চলে যান। পরের দিন ভোর চারটার দিকে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর মালিক বাদীর বাড়িতে গিয়ে জানান, ঘরটির সাটার খোলা। এরপর বাদী ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, দোকানের সামনের সাটার খোলা, তালা ভাঙা, দোকানের ক্যাশের তালা ভাঙা। চালের বস্তা ছড়ানো ছিটানো। বিভিন্ন প্রকারের ৩৪০ বস্তা চাল নাই, ক্যাশ বাক্সে রক্ষিত নগদ ৬০ হাজার টাকা নেই।

চুরি করা চাল বিক্রির টাকা। ছবি: যশোর জেলা পুলিশ

শার্শা থানায় ২৬ জুলাই বাদীর এই এজাহার দায়ের করার পর গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএমের নির্দেশে এর তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখার উপর ন্যাস্ত করা হয়।

পরে পুলিশ সুপারের দিক-নির্দেশনায় জেলা ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকার, পিপিএমের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই শফি আহম্মেদ রিয়েল, এসআই সোলাইমান আক্কাস, এসআই মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে একটি দল তদন্তের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের সনাক্ত করে এবং ইতোপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ইয়াকুব মৃধা, শফিয়ার রহমানকে (চুরির ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়ির চালক) নিয়ে গতকাল সোমবার পাবনা জেলার আমিনপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি সেলিম ওরফে ক্যারফা সেলিম, আবদুর রাজ্জাক, রুবেল প্রামানিক, হযরত প্রামাণিক, এসএম রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আসামি রুবেলের কাছ থেকে ২৪টি ২৫ কেজির চালের বস্তা ও খালি ১২টি বস্তা ও চাল বিক্রির ১৬ হাজার ৫০০ টাকা, হযরত প্রামাণিকের কাছ থেকে ৭টি ৫০ কেজির বস্তা ও চাল বিক্রির এক লাখ টাকা ও খালি ১০টি বস্তা এবং রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ২৫ কেজির ৮৬ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য, আসামিদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক ডাকাতি ও চুরির মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

জব্দ করা চাল। ছবি: যশোর জেলা পুলিশ