মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগদান শেষে নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে ১৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তিনি লন্ডন ত্যাগ করেন। খবর বাসসের।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে স্থানীয় সময় রাত ৮টায় লন্ডনের স্টানস্টেড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার আশেকুন নবী চৌধুরী এ তথ্য জানান। বিমানটি একই দিন স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টায় নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

যুক্তরাজ্য ত্যাগের আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য বিশ্বনেতার সঙ্গে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ শত শত বিশিষ্ট ব্যক্তি রানির শেষকৃত্যানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। যে ভবনে তাঁর বিয়ে হয় এবং তিনি রানি নির্বাচিত হন, সেই ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতেই রানির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

১৫ সেপ্টেম্বর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিতে শেখ হাসিনা সরকারি সফরে লন্ডনে পৌঁছান।

যুক্তরাজ্য সফরের চতুর্থ দিন সন্ধ্যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লস বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সম্মানে আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেন।

২০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আয়োজিত সংবর্ধনায় এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এ ছাড়া তিনি ইউএনএইচসিআরের ফিলিপো গ্রান্ডি এবং স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। একই দিন তিনি জাতিসংঘে নারীনেত্রীদের প্ল্যাটফর্মেও যোগ দেবেন।

দিনের শেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত সংবর্ধনাতেও অংশ নেবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

২১ সেপ্টেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, স্লোভাক প্রজাতন্ত্র ও জাতিসংঘ আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের টেকসই আবাসন শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পরে তিনি ডব্লিউইএফের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর শোয়াব ক্লাউসের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ (জিসিআরসি) চ্যাম্পিয়নস মিটিংয়ে যোগ দেবেন।

বিকেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে পদ্মা সেতুর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন এবং এরপর কসোভোর প্রেসিডেন্ট ড. ভজোসা ওসমানি-সাদ্রিউ, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো মেন্ডোজা এবং রাবাব ফাতিমার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২২ সেপ্টেম্বর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের (এএমআর) ওপর একটি প্রাতরাশ বৈঠকে অংশ নেবেন এবং আইওএম মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিটোরিনোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিনি ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেবেন।

পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেচ আক্কা মোহা সেনা পাদেই টেকো হুন সেন এবং আইসিসির প্রসিকিউটর নিক ক্লেগ ও করিম খানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

২৩ সেপ্টেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।