রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ক্যাম্পের কয়েক হাজার বসতঘর পুড়ে গেছে।

আজ রোববার বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে ১১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-১৫ ব্লকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। শেষ খবর পর্যন্ত এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। খবর আজকের পত্রিকার ।

ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিটসহ সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

রোহিঙ্গা নেতা সৈয়দউল্লাহ দাবি করেছেন, ১১, ৯, ১০ নং ক্যাম্পের ৮টি ব্লকের কমপক্ষে তিন হাজার ঘর ইতিমধ্যে পুড়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘এই ক্যাম্পগুলোর কমপক্ষে ৪০ হাজার মানুষকে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে, আগুন না কমলে এ সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়তে পারে।’

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন।’

উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন ইনচার্জ এমদাদুল হক বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবরে ঘটনাস্থলে আমরা উপস্থিত হয়েছি। নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।’

১১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের যুবক মোহাম্মদ করিম (২৫) বলেন, ‘আমরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়লাম, পরিবার নিয়ে চলে যাচ্ছি আত্মীয়ের বাসায়। আমার কিছু অবশিষ্ট নেই।’

ক্যাম্পের মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের তীব্রতা আরও বাড়তে থাকে। একসময় আগুন স্থানীয়দের ঘরবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে, ২০২১ সালে ২২ মার্চ একই ক্যাম্পসহ পার্শ্ববর্তী তিনটি ক্যাম্পে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় আগুনে ১০ হাজারের বেশি বসতঘর পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা সদস্য গৃহহারা হয়েছিল। এ ছাড়া দগ্ধ হয়ে ২ শিশুসহ ১৫ জন রোহিঙ্গা মারা যায়।