রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদে ফিরে যাওয়াই সংকটের একমাত্র টেকসই সমাধান বলে জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোহিঙ্গাদের আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ডিপ্লোমেসির আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান। সম্মেলনে জনস্বাস্থ্য ও কূটনীতি নিয়ে বক্তব্য দেন বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। খবর ইন্ডিপেনডেন্ট অনলাইনের।

রোহিঙ্গা সংকটকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ কথা ভুলে গেলে চলবে না, এ দেশে আশ্রিত বিশাল জনগোষ্ঠীটি সব সময় আমাদের অঞ্চলের জন্য মানবিক সংকট ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তাদের সসম্মানে মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই কেবল এ সংকটের টেকসই সমাধান নিশ্চিত করা সম্ভব। আমরা আশা করি, মিয়ানমার খুব দ্রুত তাদের এই নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।’

রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও গ্রহণযোগ্য সমাধানে আন্তর্জাতিক উদ্যোগের ওপরেও জোর দেন শেখ হাসিনা।।

উদ্বোধনী বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বহুমাত্রিক উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরেন। দেশের মানুষকে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা দিতে সরকার কাজ কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসা বিষয়ে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা, প্রয়োজনীয় গবেষণা কর্মকান্ডের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও ৪টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আমরা প্রতিষ্ঠা করব। স্থাপন করা হয়েছে হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, কিডনি ইনস্টিটিউট, গ্যাস্ট্রো লিভার ইনস্টিটিউট, ক্যানসার ইনস্টিটিউট, নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট, চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, বার্ন ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল। প্রতি জেলায় কমপক্ষে একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন করার কাজ এগিয়ে চলছে।’