রংপুরে ওষুধ ও মশার কয়েল তৈরির কারখানায় পুলিশের অভিযান

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) গতকাল মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক ও একটি মশার কয়েল তৈরির কারখানায় অভিযান চালায়। স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে এসব কারখানার মালিককে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। খবর আরপিএমপির।

আরপিএমপি জানায়, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনানের নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. সাজ্জাদ হোসেনের অপারেশন পরিকল্পনায় রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনুকা ভৌমিকের নেতৃত্বে আরপিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার ফোর্স তাজহাট থানাধীন ‘ইকো ল্যাবরেটরিজ’ ইউনানি ফ্যাক্টরি ও ভরসা মশার কয়েল ফ্যাক্টরিতে পৃথক দুটি অভিযান চালায়।

অভিযানকালে ইউনানি ফ্যাক্টরির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, ওই প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ অধিদপ্তরের ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র নেই। অনুমোদনহীনভাবে বেশ কিছু ওষুধ প্রস্তুত করা হচ্ছে। ওষুধ তৈরির কাঁচামাল সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী যেমন মাস্ক, গ্লাভস, অ্যাপ্রন ছিল না।

এসব অনিয়মের দায়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, রংপুরের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনুকা ভৌমিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওষুধ আইন, ১৯৪০ এর ১৮(ক)(গ) ধারা অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মশিউর রহমান শাহীনকে (৪৫) ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ত্রুটি সংশোধন করে কারখানাটির সব কার্যক্রম চালু করার আদেশ দেওয়া হয়।

রংপুরে ওষুধ ও মশার কয়েল তৈরির কারখানায় পুলিশের অভিযান

একই দিন ভরসা মশার কয়েল ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালায় আরপিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার ফোর্স। এই কারখানার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, ওই প্রতিষ্ঠানেরও পরিবেশ অধিদপ্তরের ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র নেই এবং অনুমোদন ছাড়াই পণ্য প্রস্তুত করছে। এ ছাড়া পণ্য তৈরির কাঁচামাল সঠিক প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করা হয় না এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নেই।

এসব অনিয়মের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার আইন, ২০০৯ এর ৪৩ ধারা মোতাবেক ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের পক্ষে ম্যানেজার মো. সোহেল রানাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ত্রুটি সংশোধন করে কারখানাটির সব কার্যক্রম চালুর আদেশ দেওয়া হয়।