চারটি শকুনসহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক হওয়া তিনজন। ছবি: মেহেরপুর জেলা পুলিশ

মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে চারটি আমেরিকান কালো শকুন (ব্ল্যাক ভালচার) উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তিনজন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাঁদের এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের লিয়াজ মল্লিকের ছেলে জাকের আলী, মুনসুর আলীর ছেলে আজগর আলী এবং গোপালনগর গ্রামের আলাই মণ্ডলের ছেলে মুজিবুর রহমান। মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন সরকার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ৩৪ এর খ ধারায় তিনজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর আগে শনিবার বিকেলের দিকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মেহেরপুর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলমের নেতৃত্বে এসআই অজয় কুমার কুন্ডু, সুলতান মাহমুদসহ সঙ্গীয় ফোর্স মুজিবনগর উপজেলার রতনপুর গ্রাম থেকে ৩ জনকে আটক করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে আমেরিকান কালো শকুন (ব্ল্যাক ভালচার) উদ্ধার করা হয়। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়।

মেহেরপুর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম বলেন, ওই ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে এসব বিদেশি পাখি ভারতে পাচার করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেলে তাঁরা চারটি আমেরিকান ব্ল্যাক ভালচার ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁদের আটক করেছি। তিনি আরও বলেন, ৪টি পাখির বাজার মূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা। কালো শকুনের ইংরেজি নাম ব্ল্যাক ভালচার। আমেরিকার কালো শকুন নামেও পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাংশ থেকে দক্ষিণ আমেরিকার চিলি ও আর্জেন্টিনা পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায় এদের। টার্কি ভালচারের মতো এদের সচরাচর দেখা গেলেও এরা খুব সীমিত অঞ্চলে বাস করে। টার্কি শকুন কানাডা থেকে টিয়েরা দেল ফুয়েগো পর্যন্ত দেখতে পাওয়া যায়। নামে এবং চেহারায় মিল থাকা সত্ত্বেও এরা ইউরাসিন ব্ল্যাক ভালচার থেকে আলাদা। ইউরাসিন ব্ল্যাক ভালচার একসিপিট্রিডি পরিবারের সদস্য। ঈগল, বাজপাখি, চিলও এই একই পরিবারের সদস্য। আর আমেরিকার কালো শকুন ক্যাথারটিডি পরিবারের সদস্য।