ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে মালিতে বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-৮)-এর পক্ষ থেকে ক্যাম্পের ভেতরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি। এই দেশেই মরুর বুকে উদযাপন করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিবস। মালির রাজধানী বামাকোয় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-৮)-এ কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা শ্রদ্ধা, গর্ব ও ভালোবাসায় দিবসটি উদযাপন করেছেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঐতিহাসিক ভাষণটি দিয়েছিলেন। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ৭ মার্চ (সোমবার) সকাল সাড়ে ৯টায় সশস্ত্র সালাম প্রদান করে বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-৮)-এর পক্ষ থেকে ক্যাম্পের ভেতরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হাসান মো. শওকত আলী এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যরা।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে মালিতে বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-৮)-এর পক্ষ থেকে সশস্ত্র সালাম প্রদান করা হয়। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

পরে ক্যাম্পের কনফারেন্স রুমে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হাসান মো. শওকত আলীসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কন্টিনজেন্টের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে মালিতে বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-৮)-এর পক্ষ থেকে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হাসান মো. শওকত আলী। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

কন্টিনজেন্ট কমান্ডার তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণকে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের অনন্য দলিল ও প্রেরণার উৎস হিসেবে উল্লেখ করেন। সম্মিলিতভাবে জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ ধ্বনির মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে মালিতে বিএএনএফপিইউ-১ (রোটেশন-৮)-এর পক্ষ থেকে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ