পুলিশি হেফাজতে আসামিরা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

কক্সবাজারে মানব পাচার চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) উখিয়া। এ সময় তিনজন অপহৃতকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (৭ জুলাই) উখিয়া থানাধীন কুতুপালং এবং টেকনাফ থানাধীন দক্ষিণ লম্বরি এলাকার বিভিন্ন দুর্গম স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার এবং অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়।

আসামিরা হলেন নুরুল আমিন (৩২), মো. ফয়সাল (১৮), শফিকুল (১৮), সাইফুল ইসলাম (২২), মিজানুর রহমান (১৮)। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বাকিদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, ২ জুলাই কাজের প্রলোভন দেখিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৩ থেকে মোহাম্মদ হাসান (১৪), আনিসুর রহমান (১৩) ও নুর আলমকে (১৫) অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান আসামিরা। এরপর তাঁদের পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করেন। গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) একই কায়দায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৩ ও আশপাশের এলাকা থেকে চার বাংলাদেশি ও দুই রোহিঙ্গা কিশোরকে অপহরণ করা হয়। অপহৃত বাংলাদেশিরা হলো সৈয়দ নূর (১২), সৈয়দুল মোস্তফা (১১), ওসমান (১৩) ও রিমন (১৫)। অপহৃত রোহিঙ্গারা হলো কামাল মোস্তফা (১৪) ও হারেছ (১২)।

তিনি জানান, খবর পেয়ে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় উখিয়া থানাধীন কুতুপালং এবং টেকনাফ থানাধীন দক্ষিণ লম্বরি এলাকার বিভিন্ন দুর্গম স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার এবং অপহৃত তিনজনকে উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের অপহরণ করে টেকনাফের দক্ষিণ লম্বরি এলাকায় সুপারি বাগানের নির্জন স্থানে আটকে রাখতেন। এরপর অপহৃতদের নৌকায় করে মিয়ানমারের শামিলা এলাকায় পাঠিয়ে দিতেন। পরে ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করতেন।

সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বাকি অপহৃতদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।