দেশের স্বনামধন্য ১৯টি হোটেলমালিক এবং বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ছবি: ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশ

ক্যাপাসিটি এনহ্যান্সমেন্ট অব ট্যুরিস্ট পুলিশ অ্যান্ড স্ট্রাক হোল্ডারস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে পর্যটন বিকাশে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দেশের স্বনামধন্য ১৯টি হোটেলমালিক এবং বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

১৮ জুলাই ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিঞা বিপিএম পিপিএম, ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স সম্মেলনকক্ষে এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি। সেমিনারে ট্যুরিস্ট পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পটের তারকা মানের হোটেলমালিকেরা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে ১৯টি হোটেলমালিক ও মালিকপক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্য, সিভিল স্টাফ এবং অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা এই চুক্তির আওতায় হোটেল মোটেল ব্যবহারে মূল্য ৫০% পর্যন্ত বিশেষ ছাড়ের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। উল্লেখ্য, ওই চুক্তি ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশ এবং সংশ্লিষ্ট হোটেল প্রতিনিধিদের সঙ্গে হলেও এর সুফল বাংলাদেশের সমগ্র পুলিশ বিভাগ ভোগ করবে।

কক্সবাজার জেলার ৮টি হোটেল, চট্টগ্রাম জেলার ৮টি হোটেল, পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটায় ৩টি হোটেলসহ মোট ১৯টি হোটেলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

এই সমঝোতা চুক্তির ফলে এসব হোটেল মোটেলে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ট্যুরিস্ট পুলিশের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং পর্যটক হয়রানি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং ভবন ও স্থাপনাসমূহের নিরাপত্তায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সহজতর হবে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় উল্লেখযোগ্য হোটেল মোটেলগুলো হলো হোটেল ড্রিম ইন্টারন্যাশনাল লি., হোটেল ফয়’স লেক কনকর্ড, হোটেল পেনিনসুলা, হোটেল এভেনিউ, হোটেল সাফিনা, হোটেল টাওয়ান ইন ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল কমফোর্ট লি., হোটেল আগ্রাবাদ, হোটেল সি গাল, হোটেল সি প্যালেস, গ্র্যান্ড হেরিটেজ হোটেল, হোটেল দি কক্স টুডে, সায়মন বিচ হোটেল, লং বিচ হোটেল, ওশান প্যারাডাইস হোটেল, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট এন্ড স্পা, কুয়াকাটা গ্র্যান্ড হোটেল এন্ড সি রিসোর্ট, ওশান ভিউ হোটেল ও শিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলাস।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর সেমিনার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অতিরিক্ত আইজিপি পুলিশ হোটেল কর্তৃপক্ষের ট্যুরিজম বিকাশে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এগিয়ে আসায় অভিনন্দন জানান। এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ট্যুরিজম সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুয়াকাটায় অবস্থিত ১৯টি হোটেল মোটেলের সাথে এই চুক্তি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারসহ পর্যটনশিল্পকে এক ধাপ এগিয়ে নিতে মাইলফলক উন্মোচিত হলো।

লিগ্যাল ও মিডিয়া শাখার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল হালিম বলেন, অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিঞা বিপিএম পিপিএম দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পর্যটকবান্ধব পুলিশ হিসেবে ট্যুরিস্ট পুলিশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তায় এবং পর্যটনশিল্পকে এগিয়ে নিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালনে বদ্ধপরিকর।