করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে দীর্ঘ সময় থমকে ছিল দেশের পর্যটন। বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর এরই মধ্যে খুলেছে অনেক পর্যটন-আকর্ষী স্থান। এসব স্থানকে পর্যটনের জন্য প্রস্তুত ও নিরাপদ রাখতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদা তৎপর।

ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার অঞ্চল এক ফেসবুক পোস্টে জানায়, সম্প্রতি ‘করোনা-পরবর্তী সৈকত পর্যটন: কক্সবাজার কি তৈরি’ শীর্ষক একট আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং ট্যুর অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের নেতৃবৃন্দ। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. জিললুর রহমান।

করোনা-পরবর্তী সৈকত পর্যটন: কক্সবাজার কি তৈরি’ শীর্ষক একট আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি: ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশ
এদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশের জাফলং সাবজোন জানায়, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় সম্প্রতি পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যবিধি মানা, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। ট্যুরিস্ট পুলিশ ময়মনসিংহ সাবজোনও জানায়, এখানকার পর্যটন-আকর্ষী অন্যান্য জায়গার মতো শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা ও শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন উদ্যানে আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর রয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং তাঁদের নিরাপত্তার জন্য একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ রংপুর রিজিওন। ট্যুরিস্ট পুলিশ বাগেরহাট জোনও বাগেরহাট ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ ও খানজাহান আলী (র.) মাজার এলাকাসহ এই অঞ্চলের অন্যান্য পর্যটন-আকর্ষী স্থানে স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৎপর রয়েছে।

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান। ছবি: ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশ
এদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশ বরিশাল রিজিওন জানায়, আন্তর্জাতিক উপকূল পরিচ্ছন্নতা দিবস-২০২১ উপলক্ষে পটুয়াখালীতে মৎস্য অধিদপ্তর ও ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশ ১৮ সেপ্টেম্বর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে ‘সমূদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযান’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে র‍্যালির আয়োজন করা হয়ে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এম এম মিজানুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ-এর সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি, ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা এবং আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি।