ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, পুলিশের কষ্টের কথা না লিখে অন্যায়ের কথা তুলে ধরে প্রতিবেদন করা হয়। কয়েকজনের অপরাধের দায় ঢাকা মহানগরীর ৩২ হাজার পুলিশ সদস্য নেবে না। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে শহীদ এসআই শিরু মিয়া মিলনায়তনে নিউমার্কেটে অগ্নিদুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের ভালো ও মানবিক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ পুলিশ বাংলাদেশের জনগণের পাশে ছিল এবং থাকবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যার সময় সিদ্দিকুর রহমান পালিয়ে না গিয়ে আত্মাহুতি দিয়েছেন। ২০১৩ সালে আগুন-সন্ত্রাস, করোনা মহামারিসহ নানা ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশ দেশমাতৃকার টানে পালিয়ে যায়নি। বাংলাদেশ পুলিশ স্বাধীনতার জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য অকাতরে জীবন দিয়েছে। দেশের যেকোনো দুর্যোগে সব সময় প্রস্তুত থাকে।

পুলিশের কারণেই ঢাকার মানুষ নিরাপদে ঘুমাতে পারে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরে ১০ হাজার পুলিশ রাত জেগে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের এই দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই আপনি রাতে নিরাপদে ঘুমাতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুলিশ সদস্যরা রোদের মধ্যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের শরীর পুড়ে যায়। সেসব কষ্টের কথা লেখা হয় না। কে কোন দিন একটু অন্যায় করেছে, সেগুলো তুলে ধরে প্রতিবেদন করা হয়। ভবিষ্যতে কঠিন চ্যালেঞ্জ আসবে। প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে আমরা জীবন দিয়ে হলেও সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকব। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে প্রতিটি সময় আমরা তার প্রমাণ দিয়েছি।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান, দোকানমালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।