পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে দুটি থানাসহ বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের জেলা শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জে দুটি থানাসহ বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।

ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে এসব প্রকল্প ও কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

পদ্মা সেতু (উত্তর) ও পদ্মা সেতু (দক্ষিণ) নামে কার্যক্রম চালাবে থানা দুটি। এগুলোর মাধ্যমে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা।

একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ১২০টি গৃহ হস্তান্তর, পুলিশ হাসপাতালের আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতায় ১২টি পুলিশ হাসপাতাল, বাংলাদেশ পুলিশের ৬টি নারী ব্যারাক এবং অনলাইন জিডি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেজ থেকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পুলিশ ও সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তাসহ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় সিলেটে বন্যাদুর্গতদের দেখে আসায় অনুষ্ঠান শুরুতে দেরি হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনী, কোস্ট গার্ড, বিজিবি, পুলিশ বাহিনী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

পুলিশের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীই প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

বাহিনীর উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরে তাঁর কন্যা বলেন, জাতির পিতা স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে যখন পর্যাপ্ত রিজার্ভ ছিল না, সে অবস্থাতেও তিনি পুলিশের বেতন বৃদ্ধি করেন।

সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতা পাকিস্তান আমলে জরাজীর্ণ থানাগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৪ সালে পুলিশে নারী সদস্য নিয়োগ করেন।

তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য সামনে রেখে জাতির পিতা যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলছেন, তখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকেসহ পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়া হয়।