পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে দুটি থানাসহ বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ও সরকারের সংশ্লিষ্ট জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সরকারের টানা তিন মেয়াদে বাংলাদেশ পুলিশে সাড়ে ৮২ হাজার নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের জেলা শরীয়তপুর ও মুন্সিগঞ্জে দুটি থানাসহ বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।

ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে এসব প্রকল্প ও কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

পদ্মা সেতু (উত্তর) ও পদ্মা সেতু (দক্ষিণ) নামে কার্যক্রম চালাবে থানা দুটি। এগুলোর মাধ্যমে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা।

একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ১২০টি গৃহ হস্তান্তর, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতায় ১২টি পুলিশ হাসপাতাল, বাংলাদেশ পুলিশের ৬টি নারী ব্যারাক এবং অনলাইন জিডি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেজ থেকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশ ও সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের তিন মেয়াদে পুলিশের উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, পুলিশ আগে ২০ শতাংশ রেশন পেত। পর্যায়ক্রমে সেটিকে শতভাগে উন্নীত করা হয়েছে। পুলিশের টিফিন, ঝুঁকিভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনসংখ্যা অনুপাতে থানায় কর্মকর্তা বাড়ানো হয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশে ৮২ হাজার ৫৮৩টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটসহ পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ ও নতুন নতুন ইউনিট করা হয়েছে। বাহিনীর সদস্যদের যথাযথ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পুলিশে ৯৯৯ ইউনিট গঠন করা হয়েছে। আকাশপথে দুটি হেলিকপ্টার কেনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

নারী পুলিশ সদস্যদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, তাঁরা দেশে ও বিদেশে সুনাম অর্জন করে চলেছেন। নারী পুলিশ সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের জন্য ৬৪ জেলায় নারী পুলিশ ব্যারাক নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন।

প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ বাহিনী যেন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান সরকারপ্রধান।