ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, নৌপুলিশ নৌপথে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ঢাকায় নৌপুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ২৩ মে (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন নৌপুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম।
এর আগে আইজিপি নৌপুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে উপস্থিত হলে তাঁকে স্বাগত জানান নৌপুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি। সভার শুরুতে অতিরিক্ত আইজিপি নৌ পুলিশের সামগ্রিক কার্যক্রম নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেন, ‘নৌ পুলিশ ২০১৩ সালে গঠিত হয়েছে। এই ইউনিট নৌপথে জনগণের সেবায় কাজ করার মাধ্যমে জনগণের যে আস্থা অর্জন করেছে তা প্রশংসনীয়।’ তিনি বলেন,‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্বপ্ন নিয়ে নৌপুলিশ গঠনের ধারণা দিয়েছেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে নৌপুলিশ অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছে।’
আইজিপি বলেন, ‘নৌপুলিশ নৌপথে অপরাধ দমন এবং মৎস্য ও জলজ সম্পদ সংরক্ষণে যেভাবে কাজ করছে, তাতে তারা তাদের অর্জিত সফলতার রেকর্ড ভেঙে নতুন করে সফলতার রেকর্ড তৈরি করবে। নৌপুলিশ বাংলাদেশ পুলিশের অংশ হওয়ায় বাংলাদেশ পুলিশ সেই গৌরবের অংশীদার হবে।’ আইজিপি নৌপুলিশের অতিরিক্ত আইজিপিসহ নৌপুলিশের সব সদস্যকে ধন্যবাদ দেন এবং নৌপুলিশের সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে নৌপুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম বলেন, “নৌপুলিশ একটি বিশেষায়িত ইউনিট হলেও এর অধিক্ষেত্র পুরো বাংলাদেশ।” তিনি বলেন, “নৌপুলিশ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করার কারণে নৌপথে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের পরিমান অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে এবং নৌপথে যেকোনো প্রয়োজনে প্রথম সাড়াদানকারী ইউনিট হিসেবে নৌপুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে।”
অনুষ্ঠানে পুলিশ হেডকোয়াটার্স ও নৌপুলিশের ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, নৌপুলিশের ১১টি অঞ্চলের পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারি পুলিশ সুপার সরাসরি এবং নৌপুলিশের ১৪১টি থানা ফাঁড়ির ইনচার্জরা ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নৌপুলিশ হেডকোয়াটার্সের কর্মকর্তা ও নৌপুলিশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের থানা ফাঁড়ির ইনচার্জ (যেমন চর কুকরীমুকরী, মহেশখালী, চাঁদপাই) ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।