দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে আমরণ সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দোহায় কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এক ভাষণে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। খবর ইন্ডিপেনডেন্ট অনলাইনের।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো হুমকি বা হত্যাচেষ্টা কোনো দিনই তাকে পিছু হটাতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।

তিনি বলেন, অন্তত ১৯ বার আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে আমার ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। সে হামলায় নিজে প্রাণে বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত হন, আহত হন কয়েকশো।

সরকার প্রধান আরও বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরণ কাজ করব। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও কেবল দেশবাসীর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম করছি। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন সংগ্রাম চালিয়ে যাব।

এসময় ভবিষ্যৎ নেতা হতে কাতার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, নেতার মূল্যবোধ থাকতে হবে এবং তাকে লক্ষ্যের প্রতি অটল থাকতে হবে। লক্ষ্য অর্জনে পরিপূর্ণ ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সমাজে ‘চেঞ্জ মেকার’ হতে হবে। সেইসাথে জনগণ ও দলের ওপর আস্থা রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

এসময় বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে বাংলাদেশের মানুষকে স্মার্ট জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তুলছে তার সরকার। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কোন হতদরিদ্র বা গৃহহীন মানুষ থাকবে না বলেও জানান শেখ হাসিনা।

এর আগে দোহায় তৃতীয় কাতার অর্থনৈতিক ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী । কাতারের লুসাইল শহরের ফেয়ারমন্ট এবং র‌্যাফেলস হোটেলে মঙ্গল ও বুধবার এ ফোরাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনা কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির আমন্ত্রণে ফোরামে যোগ দিতে সোমবার দোহায় যান।

এই ফোরামের মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী চলমান বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও সংকট এবং এর ফলে উদ্ভূত বিরূপ অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করা।