গ্রেপ্তারের প্রতীকী

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিসাবরক্ষক পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। খবর ডিএমপি নিউজের।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সিরাজুল ইসলাম ওরফে শুভ ও শরিফুল ইসলাম।

গতকাল বুধবার রাতে ফরিদপুর সদরের চর কমলাপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ৫টি মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড জব্দ করা হয়।

সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ আরিফুল হোসেইন তুহিন জানান, এ বছর যারা সরকারী ব্যবস্থানায় হজ পালন করতে গিয়েছিলেন তাদের মোবাইল নম্বরসহ তালিকা সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। প্রতারক চক্রটি ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিসাবরক্ষক হিসেবে পরিচয়ে হাজিদের মোবাইলে ফোন করে জানায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাছে হাজিদের ৭৫ হাজার টাকা পাওনা আছে। ওই টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে তাদের ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড নম্বর এবং সিভিসি-সিডিডি নম্বর কৌশলে সংগ্রহ করে চক্রটি। এসব কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে অবৈধ ট্রানজেকশন করতে চাইলে ব্যাংকের সার্ভার থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওটিপি গ্রাহকের মোবাইলে চলে আসে। তখন চক্রটি গ্রাহকের মোবাইলে ফোন দিয়ে কৌশলে ওটিপি সংগ্রহ করে। সেই ওটিপি ব্যবহার করে গ্রাহকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

সহকারী পুলিশ কমিশনার আরও জানান, এধরনের এক ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার (২৪ জুলাই) পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে সিটিটিসি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। তদন্তকালে প্রযুক্তির সহায়তায় চক্রটির সদস্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে সহকারী পুলিশ কমিশনার বলেন, এর মধ্যেই চক্রটি প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মূলত সরকারি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সরকারি সেবা গ্রহীতাদের তথ্য সংগ্রহ করে বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, উপবৃত্তি, সরকারি বিভিন্ন কল্যাণ ভাতাসহ সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্তদের টার্গেট করেই প্রতারণা করেছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পল্টন মডেল থানার মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।