কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ফাহিমা আক্তার। ছবি: পুলিশ নিউজ

গতকাল শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী জেলার ট্রেইনি রিক্রুট পুলিশ কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ১৬ নভেম্বর থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে জেলার ৬৫ তরুণ-তরুণী পুলিশে নিয়োগ পান। তাঁদেরই একজন ফাহিমা আক্তার। তাঁর বাবা নোয়াখালী সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের আবদুর রহমান (৪০) একজন দারোয়ান। একজন দারোয়ানের মেয়ে হয়েও পুলিশে চাকরি পাবেন, তা স্বপ্নেও ভাবেননি ফাহিমা।

নিয়োগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ফাহিমা জানান, তাঁর বাবা দারোয়ানের চাকরি করেন। খুবই কষ্টে দিন কাটে পাঁচ সদস্যের পরিবারের। ছোটবেলায় বাবা দারোয়ানের ডিউটি শেষে বাড়ি ফিরলে তাকিয়ে থাকতেন। তখন থেকেই স্বপ্ন দেশের জন্য কাজ করার। তাই পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে আবেদন করেছেন। মাত্র ১১২ টাকা খরচ করে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

ঘুষ ছাড়া চাকরি হওয়ায় কোনো দিন ঘুষ না নেওয়ার অঙ্গীকার করেন ফাহিমা আক্তার।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, যুগোপযোগী পুলিশ করার জন্য ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) নিয়োগ পরীক্ষায় আধুনিকায়ন করেছেন। ব্যাংক ড্রাফটে ১০০ টাকা জমা দিয়ে পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রায় ২৬০০ তরুণ-তরুণী অংশ নেন। এমন একটি যুগান্তকারী পদ্ধতিতে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, যেখানে চাইলেও অনিয়ম করার সুযোগ নেই।