রাজধানীর দারুস সালামে অপহৃত ভিকটিমের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ।
এ হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। খবর ডিএমপি নিউজের।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. আরিফুল ইসলাম, মো. ইমরান হোসেন ও মো. ইয়ামিন মোল্লা।
আজ মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর দারুস সালাম, মিরপুর মডেল ও শাহ আলী থানা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে মিরপুর জোনাল টিম।
প্রসঙ্গত, ২ জানুয়ারি রাত ১১টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে নুরুল আমিন নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হন। এ-সংক্রান্তে ভিকটিমের চাচা দারুস সালাম থানায় একটি জিডি করেন। পরে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তাঁর চাচাকে ফোন করে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের চাচা দারুস সালাম থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনাল টিম।
গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। অতঃপর আজ মঙ্গলবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ সম্পর্কে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ভিকটিমের পূর্বপরিচিত। তাঁরা দারুস সালাম থানার জহুরাবাদস্থ এলাকায় ইমরানের ভাড়া বাসায় ভিকটিমকে ডেকে এনে কৌশলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর ভিকটিমের লাশ বস্তাবন্দী করে জহুরাবাদের বেড়িবাঁধে ফেলে দেন। পরে আসামিদের দেখানো মতে জহুরাবাদের বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দারুস সালাম থানায় দায়েরকৃত মামলায় রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
