রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনে অভিযান শুরু করেছে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। এরপর পেরিয়ে গেছে তিন মাসের বেশি সময়। এই পুরোটা সময় রাজধানী কিয়েভের বাইরে পা রাখেননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যুদ্ধ না থামলেও এবার অবশ্য তিনি রাজধানীর বাইরে গেছেন, পরিদর্শন করেছেন খারকিভ অঞ্চল।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, খারকিভে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সম্মুখসারির যোদ্ধাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তাঁদের হাতে উপহার তুলে দেন।
সেনাসদস্যদের উদ্দেশে জেলেনস্কি বলেন, ‘আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আপনারা আমাদের সবার জন্য কাজ করছেন। দেশের জন্য আপনারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন। রাশিয়াকে থামানো সব সভ্য দেশের মিশন। সময় আছে, তবে পদক্ষেপ নিতে হবে দ্রুত।’
এদিকে রাশিয়াকে থামানো প্রতিটা সভ্য দেশের অভিন্ন মিশন বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াকও। এক টুইটে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব কেন আফ্রিকা বা প্রাচ্যের চেয়ে ইউক্রেনের দিকে বেশি মনোযোগ দেয়? এ ধরনের আখ্যান রাশিয়ান এজেন্টরা প্রচার করছে। ইউক্রেন যুদ্ধ কোনো স্থানীয় সংঘাত নয়, এটি আগামী বিশ্ব কেমন হবে সে প্রশ্ন।’ রাশিয়াকে জিততে দেওয়া হবে প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দেওয়ার শামিল। তারা মানবতাকে অন্ধকার যুগে ঠেলে দেবে। এতে স্বৈরাচারীরা আঞ্চলিক সংঘাতকে উসকে দেওয়ার সুযোগ পাবে, দেশ দখল করার সাহস দেখাবে।’
