ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর ১০০তম দিন আজ। এই ১০০ দিনে অনেক কিছু ঘটে গেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের ১০০তম দিনেই দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্বীকার করেছেন, তাঁর দেশের প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। তাঁর ভাষ্য, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল থেকে শুরু করে এ পর্যরন্ত ওই ২০ শতাংশ এলাকা রাশিয়া দখল করেছে।

ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। প্রথমদিকে অনেকেই ভেবেছিল, রাশিয়া হয়তো ঝটিকা অভিযান চালিয়ে কিয়েভের সরকারের পতন ঘটাবে। কিন্তু আদতে তা হয়নি। তবে ইউক্রেন যুদ্ধে এই ১০০ দিনে উল্লেখযোগ্য কিছু সাফল্য পেয়েছে রুশ বাহিনী। এর মধ্যে অন্যতম দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী মারিউপোল দখলে নেওয়া। এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ায় রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে এখন ক্রিমিয়া উপদ্বীপ সরাসরি স্থলপথে যুক্ত হয়েছে।

মারিউপোল দখলের আগেই অবশ্য খেরসন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এ ছাড়া চেরনোবিল বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আছে এমন কিছু এলাকা রাশিয়া দখল করেছে। এদিকে দনবাস অঞ্চলের লুহানস্কও দখলে নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে আছে রুশ বাহিনী। দনিয়েৎস্কও খুব শিগগির রুশ বাহিনীর হাতে চলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই অবস্থায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ২ জুন (বৃহস্পতিবার) বলেন, রাশিয়ার সেনারা ২০১৪ সাল থেকে মস্কো-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে থাকা ক্রিমিয়া উপদ্বীপ এবং পূর্বাঞ্চলীয় ভূখণ্ডসহ তাঁর দেশের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, লুক্সেমবার্গে আইন প্রণেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাকালে জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ, আমাদের ভূখন্ডের প্রায় ২০ শতাংশ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রুশ বাহিনী পূর্বাঞ্চলে দনবাস অঞ্চলে তাদের দখল দৃঢ় করছে এবং সেখানে ইউক্রেনের প্রশাসনিক কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।