বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পরশু দিন রোববার মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী দিনেই টাইগারদের বিপক্ষ স্কটল্যান্ড। বিশ্বকাপ সামনে রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার আইসিসির অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে নানা বিষয় নিয়ে কথা বললেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহকে প্রশ্ন করা হয়, তামিমের মতো অভিজ্ঞ একজন ব্যাটসম্যানের অভাব কতটা বোধ করবে বাংলাদেশ দল?

মাহমুদউল্লাহ তামিমের না থাকা নিয়ে বলেছেন, ‘এটা সত্যি যে তামিম অনেক বছর ধরেই বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়।’ এরপর তিনি তরুণ ব্যাটসম্যানদের বিষয়টি নিয়ে আসেন, ‘তামিমের না থাকাটা মোহাম্মদ নাঈমের মতো তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য একটি সুযোগ। এ ছাড়া লিটন দাস আছে। সৌম্য সরকারও আছে। আমার তো মনে হয়, এটা তরুণদের জন্য নিজেদের প্রমাণের একটা সুযোগ। তাদের দলের প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে হবে।’

চোটের কারণে বিশ্বকাপের আগে পর্যাপ্ত ক্রিকেট খেলতে পারেননি বাংলাদেশের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। এ কারণে দল ঘোষণার আগেই নিজে থেকে না থাকার কথা বলে দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও অনেক বিষয়ের সঙ্গে এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্ডিশন আর বাংলাদেশের স্পিন-শক্তি প্রসঙ্গও। মাহমুদউল্লাহ এ বিষয়ে বলতে গিয়ে বাংলাদেশের পুরো বোলিং বিভাগ নিয়েই নিজের সন্তুষ্টির কথা বলেছেন, ‘স্পিন বোলিংটা আমাদের একটা শক্তির জায়গা। কয়েক বছর ধরে স্পিনার তথা আমাদের বোলিং বিভাগই খুব ভালো করছে। কয়েকটি সিরিজে পেসাররা ভালো করেছে। সর্বশেষ কয়েকটি সিরিজে স্পিন আর পেসের সমন্বয়টা খুব ভালো ছিল। আর আমরা যেখানেই খেলি, আমাদের এই মানসিকতা নিয়ে খেলতে হবে যে যেকোনো কন্ডিশনের সঙ্গেই খাপ খাইয়ে নিতে পারি।’

চোটের কারণে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। তবে সময়মতো সেরে উঠবেন বলে আশাবাদী তিনি। আইসিসির অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে চোট নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেছেন, ‘চোট থেকে সেরে উঠছি। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলিনি। কিন্তু এখন ভালোর দিকে। আশা করছি প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলতে পারব।’ আর বাংলাদেশ দলের সমন্বয় নিয়ে তাঁর কথা, ‘আমি সব সময়ই অভিজ্ঞতার মূল্য দিই। বিশেষ করে এই সংস্করণে। এদিক থেকে আমাদের সাকিব আর মুশফিকের মতো দুজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সমন্বয় ঘটানো।’

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের লক্ষ্য নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘যতটা সম্ভব ভালো খেলতে চাই। প্রথমে সুপার টুয়েলভে উঠতে চাই। এরপর ম্যাচ ধরে ধরে এগোনোর পরিকল্পনা। আমরা চাই ভালো ক্রিকেট খেলতে।’