জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে মেঘনা নদীতে ডুবন্ত একটি বালুবোঝাই নৌযান (বাল্কহেড) থেকে পাঁচ শ্রমিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীঘাট নৌ ফাঁড়ির পুলিশ রোববার দুপুরে তাঁদের উদ্ধার করে।
যেভাবে উদ্ধার
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মো. রতন জানান, বেলা দেড়টার দিকে ৯৯৯ নম্বরে তিনি একটি কল রিসিভ করেন। ভয়ার্ত ও উদ্বিগ্ন স্বরে কলটি করেছিলেন মেহেদী নামে এক নৌশ্রমিক। মেহেদী জানান, তাঁরা বালুবোঝাই একটি নৌযানে করে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীঘাট থেকে নোয়াখালীর কমলগঞ্জে যাচ্ছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর তীব্র স্রোত ও ঢেউয়ে তাঁদের নৌযানটি এক পাশে কাত হয়ে যায়। যেকোনো মুহূর্তে এটি ডুবে যেতে পারে।
মেহেদীর বরাত দিয়ে কনস্টেবল রতন আরও জানান, নৌযানটির পাঁচ শ্রমিক মেঘনা নদীর মতিরহাটের কাছাকাছি ছিলেন। কলার বারবার আর্তস্বরে তাঁদের বাঁচানোর অনুরোধ জানাচ্ছিলেন।
কলটেকার জানান, ৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নৌ পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষ, লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষ ও কোস্টগার্ড নিয়ন্ত্রণকক্ষে জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৯৯৯ ডিসপাচার এএসআই নাহিদা সুলতানা এবং ৯৯৯ ডিউটি টিম সুপারভাইজার ইন্সপেক্টর নাসিমুল হক বিষয়টি নিয়ে নৌ পুলিশ ও কলারের সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে শুরু করেন।
কলটেকার আরও জানান, ৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীঘাট নৌ ফাঁড়ি পুলিশের একটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত রওনা দেয়। পরে উদ্ধারকারী পুলিশ দলের এএসআই আরিফ হোসেন ৯৯৯কে ফোনে জানান, তাঁরা ডুবন্ত নৌযানের শ্রমিকদের উদ্ধার করে তাঁদের নৌযানে নিয়ে নেন। শ্রমিকদের খাবার ও পানীয় সরবরাহ করা হয় এবং নিরাপদে তীরে নিয়ে আসা হয়েছে।
ডুবন্ত নৌযানটির মালিকপক্ষকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা বৃহৎ নৌযান নিয়ে এলে ডুবন্ত নৌযানটি উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।