শ্রেষ্ঠ একজন পুলিশ কর্মকর্তার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

বুধবার (২৪ আগস্ট) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে জুলাই মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের পুরস্কৃত করেন তিনি। খবর জাগো নিউজের।

জুলাই মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আটটি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে তেজগাঁও বিভাগ ও শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা। তবে ওয়ারেন্ট তামিল করে শ্রেষ্ঠ হয়েছে উত্তরা বিভাগ।

সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুজিব আহম্মেদ পাটওয়ারী। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম। পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস) মধ্যে প্রথম হয়েছেন পল্লবী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) উদয় কুমার মন্ডল।

শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক (এসআই) নির্বাচিত হয়েছেন যৌথভাবে চকবাজার মডেল থানার এসআই কৃষ্ণ পদ মজুমদার ও পল্লবী থানার এসআই কাউছার মাহমুদ। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী কর্মকর্তা হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই রুহুল আমিন। শ্রেষ্ঠ এএসআই নির্বাচিত হয়েছেন যৌথভাবে চকবাজার মডেল থানার এএসআই রুহুল আমিন ও পল্লবী থানার এএসআই হরিদাস রায়। বিস্ফোরক উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই কৃষ্ণ পদ মজুমদার। মাদক উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই তারিক উর রহমান শুভ এবং চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন মিরপুর মডেল থানার এসআই কাজী মো. গোলাম কিবরিয়া।

নয়টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার দেবাশীষ কর্মকার। অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল আলম মুজাহিদ। মাদকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের গুলশান জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহবুবুল হক সজীব। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান মোহাম্মদ মুহতারিম। অজ্ঞান/মলম পার্টি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হলেন গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ফজলুর রহমান।

আটটি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন ট্রাফিক লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার বিমান কুমার দাস।

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পুলিশের কর্মকর্তারা।

শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হয়েছেন ট্রাফিক রমনা বিভাগের শাহবাগ ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ইছমাইল হোসেন। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট হয়েছেন যৌথভাবে ট্রাফিক রমনা বিভাগের মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মো. মোবারক হোসেন ও ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের দারুসসালাম ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মো. হাসানাত।

এছাড়াও ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পিআর বিভাগসহ আটটি বিভাগ ও বিভিন্ন পদ মর্যাদার ১০৮ জন কর্মকর্তা এবং ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রতি মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধ বিশ্লেষণ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী কর্মপন্থা ও কর্মকৌশল সম্পর্কিত নির্দেশনার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের কর্মোদ্দীপনা বাড়াতে প্রতিমাসের কার্যক্রম পয়েন্ট আকারে যোগ করে পরবর্তী মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদারের সঞ্চালনায় অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।