চোরাই মোবাইল, ল্যাপটপসহ সংঘবদ্ধ চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ব্রিফিং করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের কলাবাগান থানা-পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল, ল্যাপটপ উদ্ধারসহ সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।

রাজধানী ঢাকা এবং কক্সবাজারের চকরিয়া থানা এলাকায় ২৯ মার্চ (বুধবার) থেকে ৩১ মার্চ (শুক্রবার) পর্যন্ত এসব অভিযান পরিচালিত হয়।

গ্রেপ্তার আসামিদের নাম নুর ইসলাম (৩৫) ও আবু বরকত মিশকাত (৩২)।

চোর চক্রের কাছ থেকে উদ্ধার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৭ মার্চ ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে কলাবাগান থানার একটি বাসা থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের চোরেরা দুটি আইফোন, একটি ওয়ান প্লাস-নাইন প্রো, একটি ওয়ান প্লাস-নাইন আরটি এবং ভিভো ওয়াই২১ মোবাইল ফোনসহ ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা চুরি করে। এ ঘটনায় কলবাগান থানায় একটি মামলা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে রমনা বিভাগের কলাবাগান থানার আভিযানিক একটি দল তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান, নাম-ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার শনাক্ত করে। এরপর ২৯ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ তারিখ পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা এবং কক্সবাজারের চকরিয়া থানা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে কলাবাগানের ওই বাসা থেকে চুরি করা চারটি মোবাইল ফোনসহ মোট ৪২টি চোরাই মোবাইল ও তিনটি চোরাই ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তার আসামিরা সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাঁরা যোগসাজশে রাজধানী ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন উপায়ে মোবাইল, ল্যাপটপ চুরি করে সহযোগীদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, চুরির পর এই চক্র মোবাইল ফোনগুলোর আইএমআই নম্বর পরিবর্তন করে এবং মোবাইল ফোনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পৃথকভাবে খুলে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।