ডিএমপির অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকসহ (বিপিএম-বার, পিপিএম) অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করলেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএম। খবর ডিএমপি নিউজের।

মার্চ ও এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

রোববার (১৪ মে) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে মার্চ ও এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার।
মার্চ ও এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

এপ্রিল মাসে রমজান, ঈদুল ফিতর ও ঈদ-পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির সকল স্তরের অফিসার ও ফোর্সের ব্যস্ততার কারণে মার্চ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা গত মাসে অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই মার্চ ও এপ্রিল মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভা রোববার অনুষ্ঠিত হয়।

এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মিরপুর বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে পল্লবী। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আজিজুল হক পিপিএম। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)-দের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াসিন গাজী। পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস) মধ্যে প্রথম হয়েছেন দক্ষিণখান থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন শেখ।

মার্চ ও এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই মো. মামুন হোসেন ও বনানী থানার এসআই নুর উদ্দিন। বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ আলী শিকদার। মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন ওয়ারী থানার এসআই সাজ্জাদ হোসেন। চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন শাহআলী থানার এসআই তুহিন কাজী ও কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই পলাশ বিশ্বাস। ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই মামুন হোসেন। এএসআইদের মধ্যে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এএসআই আলী আকবর ও পল্লবী থানার এএসআই হরিদাস রায়।

৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার বার্নাড এরিক বিশ্বাস। তিনি মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ টিম লিডারও নির্বাচিত হয়েছেন।

মার্চ ও এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ি চুরি উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার এসএম হাসান সিদ্দিকী। অজ্ঞান/মলম পার্টির সদস্যদের গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আহসান খান। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইয়াসিন আরাফাত।

৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগ। ট্রাফিকের শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন ট্রাফিক-লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি-ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার পীযুষ কুমার দে। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হয়েছেন ট্রাফিক রমনা বিভাগের শাহবাগ-ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর লুৎফুল আনাম। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগের রামপুর-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মো. মফিজুর রহমান ও ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট পলাশ কুমার রায়।

মার্চ ও এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

মার্চ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মিরপুর বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে পল্লবী থানা। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান মুহাম্মদ মুহতারিম। পুলিশ পরিদর্শকদের (তদন্ত) মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন উত্তরা-পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াসিন গাজী। পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস) মধ্যে প্রথম হয়েছেন কাফরুল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) আব্দুল বাতেন।

শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই অলোক কুমার ও পল্লবী থানার এসআই জহির উদ্দিন আহমেদ। শ্রেষ্ঠ এএসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মিরপুর মডেল থানার মো. নুর আলম মানু ও যাত্রাবাড়ী থানার এএসআই নুরুল ইসলাম।

মার্চ ও এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই অলোক কুমার। শ্রেষ্ঠ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই কাউছার মাহমুদ। বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই মাহাবুব হোসেন। মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন লালবাগ থানার এসআই এসএম তারেক আজিজ। চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই জহির উদ্দিন আহমেদ।

৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের লালবাগ জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মোস্তফা কামাল পিপিএম-সেবা। তিনি মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ টিম লিডারও নির্বাচিত হয়েছেন। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগের মতিঝিল জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আতিকুল ইসলাম পিপিএম। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ি চুরি উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার এসএম হাসান সিদ্দিকী। অজ্ঞান/মলম পার্টির সদস্যদের গ্রেফতারে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ফজলে এলাহী ও গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আহসান খান।

মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক-লালবাগ বিভাগ। ট্রাফিকের বিভাগের শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন ট্রাফিক-লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি-ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার পীযুষ কুমার দে। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হয়েছেন ট্রাফিক রমনা বিভাগের রমনা-ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর নিউটন চৌধুরী। যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট আব্দুল কাদের ও ট্রাফিক-গুলশান বিভাগের গুলশান-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মৌদুদ জামান।

এ ছাড়া ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পিআর বিভাগসহ একাধিক বিভাগ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার শতাধিক অফিসার ও ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

প্রতি মাসে অপরাধ বিশ্লেষণ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী কর্মপন্থা ও কর্মকৌশল সম্পর্কিত নির্দেশনার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের কর্মোদ্দীপনা বাড়াতে প্রতি মাসের কার্যক্রম পয়েন্ট আকারে যোগ করে পরবর্তী মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুরস্কৃত করে থাকেন ডিএমপি কমিশনার।

মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের একাংশ। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদারের সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন (বিপিএম-বার), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ (বিপিএম-বার) (পিপিএম-বার), যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।