মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ যত দিন চাইবে, তত দিনই ক্ষমতায় থাকবে আওয়ামী লীগ; জনগণ না চাইলে থাকবে না।

বুধবার (২৪ মে) কাতার ইকোনমিক ফোরামের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে এক আলোচনায় তিনি একথা বলেন। খবর সময় অনলাইনের।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন হলো জনগণের অধিকার। আমরা কী (উন্নয়ন) করেছি, তারা তা দেখেছে। তারা যদি আমাকে ভোট দেয়, তাহলে আমি আছি; আর যদি না দেয়, তবে ঠিক আছে, আমি থাকব না। আমাদের সময় অনেক উপনির্বাচন, স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কে সেখানে সমস্যা তৈরি করেছে? আমরা তো করিনি। কিন্তু সব নির্বাচনেই তো কিছু ঘটনা ঘটে।’

কত দিন ক্ষমতায় থাকতে চান এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যত দিন আমার দেশের জনগণ চাইবে। কারণ, আমি দেশের মানুষের জন্যই কাজ করছি। আমার বাবার স্বপ্ন ছিল, এ দেশের মানুষকে একটি উন্নত জীবন দেওয়া। এটি আমারও লক্ষ্য। আমার দেশের জনগণ ক্ষুধায় কষ্ট পাবে না, অপুষ্টিতে ভুগবে না, শিক্ষা, বাসস্থান কিংবা চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদার অভাবে ভুগবে না। এ বিষয়গুলোই আমি নিশ্চিত করতে চাই। আমরা বিগত সাড়ে ১৪ বছরে এরই মধ্যে এর অনেকটাই করতে পেরেছি।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘২০০৬ সালে আমাদের দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪১.৬ শতাংশ, ২০২২ সালে সেটিকে আমরা ১৮.৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। আশা করি, আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে কোনো চরম দারিদ্র্য থাকবে না।’

নির্বাচন প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষই ঠিক করবে, কারা দেশ পরিচালনা করবে। আমি এই অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। এটি জনগণেরই ক্ষমতা, আমি তাদের ক্ষমতা তাদের কাছেই রাখতে চাই। আমি ক্ষমতা দখল করে রাখতে চাই না; বরং আমি দেশের জনগণকেই ক্ষমতায়িত করতে চাই, যাতে তারা তাদের অধিকার চর্চা করতে পারে। সুতরাং আমাদের সরকারের অধীনে নির্বাচন অবশ্যই মুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’