পুলিশের হেফাজতে জাল নোটসহ আটক তিনজন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার সাভার উপজেলায় পোশাক কারখানার আড়ালে জাল টাকা তৈরির একটি কারখানার সন্ধান মিলেছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে কোটি টাকার সমপরিমাণ জাল নোট জব্দ করেছে সাভার মডেল থানার পুলিশ । এর সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে নোট তৈরির সরঞ্জামও।

বুধবার (২৪ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বনগাঁও ইউনিয়নের সাদাপুরে পুরাতন বাড়ির বছির বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে সাখাওয়াত হোসেন খানের মালিকানাধীন সাউথ বেঙ্গল এপারেলসের ভেতর থেকে জাল নোটসহ তাঁদের আটক করা হয়। খবর জাগো নিউজের।

আটক ব্যক্তিরা হলেন বরিশালের মুলাদী থানার ডিক্রিরচর খান বাড়ির জয়নাল আবেদীন খানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন খান (৪৫), শরীয়তপুরের পালং থানার গয়াধর গ্রামের আল ইসলাম সরদারের ছেলে সুজন মিয়া (৩০) ও বরিশালের মুলাদী থানার বয়াতিকান্দি গ্রামের মানিক মোল্লার ছেলে নাজমুল হোসেন (২৪)। এর মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন কারখানার মালিক।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন থেকে কারখানাটি পরিচালনা করছেন সাখাওয়াত হোসেন খান নামের এক ব্যক্তি। তবে কারখানাটি পোশাক কারখানা হিসেবেই জানতেন স্থানীয়রা৷ পোশাক কারখানার আড়ালে সেখানে জাল টাকা তৈরি হতো, তা আজ পুলিশের অভিযানে জানতে পেরেছেন স্থানীয়রা।

অভিযান শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, সকালে সাভারের অন্ধ মার্কেটের সামনে থেকে জাল টাকা দিয়ে লিচু কিনতে গেলে দোকানদারসহ স্থানীয়রা জাল নোট শনাক্ত করেন। এ সময় একজনকে আটকের পর সাভার থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা-পুলিশ আটক ব্যক্তিকে নিয়ে সাভারের বনগাঁওয়ের সাধাপুর পুরানবাড়ি এলাকায় ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে ৫০ লাখ টাকার সমপরিমাণ জাল নোট ও আরও প্রিন্ট অবস্থায় ৫০ লাখের বেশি টাকার সমপরিমাণ কাগজের সন্ধান পায়। সব জাল টাকা জব্দের পর তিনজনকে আটক করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পোশাক কারখানার ভেতরে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ কয়েকজনের সহায়তায় জাল নোট তৈরির কারখানা গড়ে তোলা হয়। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরুর হাটে এ জাল নোট ব্যবহার করে বিপুল অর্থের মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন তাঁরা। তাঁদের আরও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।