চলতি মে মাসে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ৬৪টি হারানো মুঠোফোন উদ্ধার করেছে। মুঠোফোনগুলো প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিকাশে প্রতারক চক্রের প্রতারণার শিকার হয়ে ৪০ হাজার টাকার বেশি অর্থ হারানো ব্যক্তিরাও সেই অর্থ ফিরে পেয়েছেন এপিবিএনের তৎপরতায়। এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্সের সাইবার টিম এসব ফোন ও টাকা উদ্ধার করেছে।
এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্সে ২৪ মে (বুধবার) দুপুরে এপিবিএনের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন) মো. ফিরোজ আল মুজাহিদ খান এসব ফোন ও টাকা প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় তারা এপিবিএনের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ইন্টেলিজেন্স) মো. ফজলুল করিম, পিপিএম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্সের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম পিপিএম-এর নেতৃত্বে এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্সের সাইবার টিম মে মাসে অভযিান পরচিালনা করে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব মোবাইল ফোন ও টাকা উদ্ধার করেছে।
ফোন ও টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এপিবিএনের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন) মো. ফিরোজ আল মুজাহিদ খান সেবাগ্রহীতাদের উদ্দেশ্যে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং এপিবিএনের সেবা গ্রহণে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি বলেন, ’সাইবার ক্রাইম, মানব পাচারসহ অন্যান্য অপরাধের তথ্য পেলে আপনারা সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নসহ এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্সকে অবহিত করবেন।’
ডিআইজি জানান, এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্স, উত্তরা, ঢাকা-এর ইন্টেলিজেন্স উইং (সিআইএ) শাখা গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে সর্বমোট ৩৬৮টি মোবাইল ফোন, বিকাশ প্রতারনার ৪ লাখ ৮০ হাজার ৪৩৯ টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ছাড়া একজন ভূক্তভোগীকে উদ্ধার, ভূয়া পুলিশ ও নিয়োগ সংক্রান্ত দুজন প্রতারককে গ্রেপ্তার, জ্বিনের বাদশাহ নামধারী একজন প্রতারককে গ্রেপ্তার এবং হ্যাকড হওয়া ছয়টি ফেসবুক আইডি উদ্ধার করেছে ইন্টেলিজেন্স উইং।
অনুষ্ঠানে ১ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) এ কে এম মোশাররফ হোসেন মিয়াজী, পুলিশ সুপার (ইন্টেলিজেন্স) মো. কামরুল আমীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ইন্টেলিজেন্স উইং) মো. ফজলুল করিম পিপিএম উপস্থিত ছিলেন ।
