চুয়াডাঙ্গায় বিজয় দিবস পুলিশ সুপার কাপ আন্তঃইউনিট কাবাডি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের একটি মুহূর্ত। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় বিজয় দিবস পুলিশ সুপার কাপ আন্তঃইউনিট কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা ১৭ ডিসেম্বর (রোববার) সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় টুর্নামেন্টটির আয়োজন করা হয়।

প্রতিযোগিতায় (বালক ও বালিকা) অংশগ্রহণকারী মোট দলের সংখ্যা ছিল ৮। এগুলোর মধ্যে বালক চারটি ও বালিকা চারটি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি অপরিহার্য অংশ। কাবাডি মানুষকে একত্র করার এবং মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সৌহার্দের বোধ জাগিয়ে তোলার ক্ষমতা রাখে। শারীরিক ও মানসিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় কাবাডি খেলার অনবদ্য ভূমিকা রয়েছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতীয় খেলাটি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গার যুবসমাজকে কাবাডি খেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বালিকাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা ৩৫-১২ পয়েন্টে আলমডাঙ্গা থানাকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। বালক গ্রুপে দামুড়হুদা মডেল থানা ২৭-০৯ পয়েন্টে চুয়াডাঙ্গা থানাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

ফাইনাল খেলায় চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম-সেবার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সর্দার আলামিন, সমাজসেবী ও প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আমান উল্লাহ আহমেদ, জেলা লাইব্রেরিয়ান মাসুদ রানা, চুয়াডাঙ্গা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এখলাচ উদ্দিন সুজন।

আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপারেশন) মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনিসুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, ডিআইও-১, অফিসার ইনচার্জ, সদর থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা, প্রশিক্ষক ও খেলোয়াড়েরা।