দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা শনিবার রাত থেকেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে নির্বাচন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
আইজিপি বলেন, ‘নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ-আনসার, প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসাররা কেন্দ্রে চলে এসেছেন। সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট, প্রশাসনসহ আমরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে সকলে মিলে দায়িত্ব পালন করব। আশা করি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে সক্ষম হব।’
পুলিশপ্রধান বলেন, ‘মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং টিম, রিজার্ভ ফোর্স, কুইক রেসপন্স টিম, ডগ স্কোয়াড, র্যাবের হেলিকপ্টারসহ সমগ্র জনবল নিয়ে আমরা নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আশা করি নির্বাচন সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা নিরাপদে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। পুলিশ আপনাদের পাশে আছে। আশা করছি উৎসবমুখর পরিবেশে সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারব। সব ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অক্ষুণ্ন রাখতে ভোটকেন্দ্রে আসবেন।’
আইজিপি বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে যেকোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাশকতাকারীর তথ্য দিলে ২০ হাজার থেকে লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। তথ্যের গুরুত্ব অনুসারে এই পুরস্কারের অর্থ দুই থেকে তিন লাখও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রেখে নাশকতাকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে নাশকতার চেষ্টা বা বাধাগ্রস্ত করা অথবা প্রার্থীরা নিজেরা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চাইলে কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে আমাদের জানাবেন। আমাদের প্রতিটি ইউনিটের মোবাইল টিমগুলো সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।’
এ সময় বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
