যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, চীন যদি তাইওয়ানে হামলা চালায়, তাহলে তাঁর দেশ তাইওয়ানের পাশে থাকবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের একটি অনুষ্ঠানে এক অংশগ্রহণকারীর প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিবিসির।
চীন তাইওয়ানকে নিজের অংশ বলে দাবি করে। তবে তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেই দেখতে চায়। এ নিয়ে ভূখণ্ড দুটির মধ্যে উত্তেজনা অনেক বছরের। সম্প্রতি তাইওয়ানের উপকূলে চীনের সামরিক উপস্থিতি, মাঝেমধ্যেই তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার আওতার মধ্যে চীনের যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়া, চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইন আছে, যেখানে বলা হয়েছে, তাইওয়ান আক্রান্ত হলে ভূখণ্ডটির প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চীন সামরিক হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র কী করবে, তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই ওই আইনে।
সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সিএনএনের ওই অনুষ্ঠানে এক অংশগ্রহণকারী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি তাইওয়ানের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসবেন কি না। আর চীনের সাম্প্রতিক সামরিক কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর দেশ কী করবে।
জবাবে বাইডেন বলেন, ‘অবশ্যই তাইওয়ানের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে যাব। তারা (চীন) কতটা শক্তিশালী হয়ে উঠল, সেটা এখানে বিবেচ্য নয়। কারণ, চীন, রাশিয়াসহ অন্য দেশগুলো জানে, আমরাই বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে সামরিক ক্ষমতাধর রাষ্ট্র।’
তবে পরে হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি এবং মার্কিন সরকার নিজের নীতিতে কোনো পরিবর্তনের ঘোষণাও দিচ্ছে না।
এদিকে বাইডেনের ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র জ্যাভিয়ের চেং বলেছেন, তাইওয়ান নিজের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর; পাশাপাশি বাইডেন প্রশাসন তাদের প্রতি দৃঢ় সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।
তবে বাইডেনের ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চীন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।