নৌপুলিশের অভিযানে জব্দকৃত অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

নৌপুলিশ তিন জেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪৭ লাখ ২২ হাজার মিটার অবৈধ (কারেন্ট, সুতা) জালসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় ৯৫ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত ২৪টি নৌকা ও সাতটি ট্রলারও জব্দ করা হয়েছে তাদের কাছ থেকে।

ইলিশের নিরাপদ প্রজননের স্বার্থে ৪ অক্টোবর থেকে ইলিশ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলছে। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা। এই সময়ে ইলিশ বেচাকেনা, পরিবহন, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, ভোলার পূর্ব ইলিশা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ভোলা সদর থানার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পাতানো অবস্থায় ১৪ লাখ ১০ হাজার মিটার অবৈধ (কারেন্ট, সুতার) জাল জব্দ করেছেন। এসব জালের আনুমানিক মূল্য ৫ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। এ সময় গ্রেপ্তার একজনের কাছ থেকে ৫৫ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত ছয়টি নৌকাও জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে বরিশালের কালীগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মেহেন্দীগঞ্জ থানার মেঘনা ও তার শাখা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে পাতানো অবস্থায় ২২ লাখ ৯২ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছেন, যার আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ সময় ২০ কেজি মা ইলিশসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১৮টি নৌকা ও সাতটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।

চাঁদপুরের নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা চাঁদপুরের হাইম থানার বারতহবিল ঈশানবালা, মাঝিরবাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ভাসমান ও পাতানো অবস্থায় ১০ লাখ ২০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছেন, যার আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৬ লাখ টাকা। এ সময় ২০ কেজি ইলিশ মাছ উদ্ধার করা হয়।

সূত্র জানায়, জব্দকৃত অবৈধ জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মা ইলিশ এতিমখানা ও দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়েছে।