প্রতীকী ছবি

কুমিল্লার চান্দিনায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ পাঁচ ডাকাতকে আটক করেছে চান্দিনা থানা-পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে চান্দিনা থানা-পুলিশ। এর আগে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত পৌনে ৪টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার তীরচর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তাঁদেরকে আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে হযরত আলী (৩৮), একই গ্রামের শাহআলম মুন্সির ছেলে মো. হাসান (২২), চান্দিনা উপজেলার মহিচাইল বাগমারা গ্রামের মো. মোসলেম মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন (৩৮), পরচঙ্গা গ্রামের মরহুম আব্দুর রবের ছেলে মো. কাউছার (৪০), ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার পূর্ব পোমকাড়া গ্রামের মো. লতিফের ছেলে মো. জহির (৪৩)। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৩টি ছোরা, একটি চেইন পিনিয়ামযুক্ত ধারালো অস্ত্র, তিনটি লোহার রড, একটি এসএস পাইপ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নোমান হোসেন ও উপপরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল ইসলামসহ পুলিশের একটি টহল টিম মহাসড়কে নিয়মিত ডিউটি করা অবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের তীরচর এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ অস্ত্রধারী ডাকাত দল মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ওই গোপন সংবাদে চান্দিনা থানার কয়েকজন অফিসার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালায়। ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে।

চান্দিনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নোমান হোসেন জানান, তারা পেশাদার ডাকাত। জেলার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে নিয়মিত ডাকাতি করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে চান্দিনা, তিতাস, বরুড়া, কোতোয়ালি, মুরাদনগরসহ বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তাদের মধ্যে ডাকাত হযরত আলীর বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, মাদক, দ্রুত বিচারসহ অন্তত আটটি মামলা রয়েছে। ডাকাত জহিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, চুরি ও মাদক আইনে ১৩টি মামলা রয়েছে। ডাকাত মো. কাউসারের বিরুদ্ধে একই ধারায় ছয়টি মামলা রয়েছে। তাদেরকে আটক করার পর থানায় ডাকাতি প্রস্তুতি আইনে মামলা করি।

চান্দিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ডাকাতি রোধ ও ডাকাতের গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।