সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় কমিটির সভায় কথা বলছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। ছবি : বাসস

সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় সরকার সব দিক থেকে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।

বুধবার (১০ মে) বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় কমিটির সভায় তিনি এ কথা জানান। খবর বাসসের।

এনামুর রহমান বলেন, রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখেছি এটা উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ উপকূল থেকে গড়ে ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। ১২ মে নাগাদ এটি উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নেবে এবং কক্সবাজার জেলা ও মিয়ানমার উপকূল দিয়ে অতিক্রম করবে। ১৮০ থেকে ২২০ কিলোমিটার বেগে এটি আঘাত করতে পারে।

ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় এসওডি (স্থায়ী আদেশবলী) অনুযায়ী সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পূর্বাভাস অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি-সিপিপিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আগাম সতর্কবার্তা প্রচারের জন্য।’

তিনি জানান, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ উপকূলীয় এলাকায় যত আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে, তা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। উপজেলার শেল্টার প্রিপারেশন কমপ্লিট। সেখানে ১৪ টন শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে ২০০ টন চাল চলে যাবে।

এনামুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি শেল্টার ম্যানেজমেন্টের জন্য। আমরা সব দিক থেকে প্রস্তুত রয়েছি। প্রতিবারের মতো এবারও আমরা সফলভাবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করতে সক্ষম হব।

তিনি জানান, পরিবহন, জনবল ও লোকজন আনা নেওয়ায় সহায়তা করে আসছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে পুলিশ সহায়তা করবে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ড প্রস্তুত রয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।