জিএমপির অভিযানে গ্রেপ্তার গবাদিপশু ডাকাত চক্রের ছয় সদস্য। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

গরুর খামারের আড়ালে গবাদিপশু ডাকাতি করে আসছিল একটি চক্র। সম্প্রতি গবাদিপশু ডাকাতির অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে চক্রটিকে শনাক্ত করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করে চক্রের ৬ সদস্যকে।

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন মরন দাস ওরফে সুমন ওরফে তাপস (৩৫) এবং তাঁর পাঁচ সহযোগী আসাদুজ্জামান বাবু (৩০), মাে: শহিদুল ইসলাম (৪০), মাে. আব্দুল মালেক (৪০), দূর্জয় রাজবংশী জাইল্লা (২৮) ও মাে. আল-আমীন (২৯)।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) জানায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আমবাড়ী হাট থেকে সাতটি গাভি, দুটি ডানা বাছুর ও পাঁচটি ষাঁড় কিনে ফেরার পথে গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় রাত দেড়টার দিকে ডাকাতের কবলে পড়েন ছাদেক (৫৮) নামের এক ব্যক্তি। ডাকাতেরা তাঁর সব গরু ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় কাশিমপুর থানায় মামলা হলে তদন্তের একপর্যায়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জিলানী বাজারে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ। সে সময় মরন দাস আটক হন।

জিজ্ঞাসাবাদে মরন দাস জানান, আশুলিয়া থানার দক্ষিণ নাল্লাপপাল্লা গ্রামে তাঁর একটি গরুর খামার আছে। তদন্তকারী সেখানে গিয়ে গরু-বাছুরসহ ৪১টি গবাদিপশু পায়। তবে এগুলো কেনার প্রয়ােজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারেননি মরন দাস। একপর্যায়ে মামলার বাদীকে ডেকে নেওয়া হয়। তিনি ওই খামারে গিয়ে তাঁর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ১১টি গরু শনাক্ত করেন। এরপর তদন্তকারী দল মরন দাসের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গরু বিক্রির
১ লাখ ৬১ হাজার ৭৫০ টাকা জব্দ করে। পরে মরন দাসের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁর পাঁচ সহকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গবাদিপশু ডাকাত চক্রের ছয় সদস্য গ্রেপ্তারের ঘটনায় জিএমপির মিডিয়া সেন্টারের ব্রিফিং। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

এরপর ঘটনাটি পাশের থানাগুলোকে জানালে গাছা থানায় দায়ের গবাদিপশু ডাকাতির একটি মামলার বাদী ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁর চুরি হওয়া চারটি গরুর মধ্যে দুটি শনাক্ত করেন।