পুলিশি হেফাজতে গ্রেপ্তার চোরাই অটোরিকশা কেনাবেচা চক্রের সদস্যরা। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে চোরাই মিশুক ও অটোরিকশা কেনাবেচার চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার করেছে ১১টি চোরাই মিশুক।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র কেরানীগঞ্জ ও ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে ছিনতাই করা চোরাই মিশুক ও অটোরিকশা কেনাবেচা করে আসছিল। এই চক্রের কারণে বিভিন্ন সময় অটোরিকশা ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার হলেও ছিনতাই করা অটোরিকশা উদ্ধার করা সম্ভব হতো না। কেননা এই চক্রের সঙ্গে বিভিন্ন অটোরিকশা ছিনতাইকারীদের সরাসরি যোগাযোগ থাকায় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা কয়েকটি হাত বদল হয়ে যেত।

সংঘবদ্ধ এই চক্রকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
শাহাবুদ্দিন কবীর, বিপিএম-সেবা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানা-পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রুহিতপুরে চোরাই ব্যাটারিচালিত মিশুক কেনাবেচা করার জন্য কয়েকজন ব্যক্তি অবস্থান করছেন। এই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন অর-রশিদ, পিপিএমের তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মুন্সী আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একটি আভিযানিক দল রুহিতপুরে অভিযান চালায়।

এ সময় একটি চোরাই মিশুকসহ বাচ্চু (৫৫), নজরুল ইসলাম (২৫) ও মো. ফারুক হাসান (৩০) নামে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার আসামি বাচ্চু জানান, তাঁরা একটি সংঘবদ্ধ চোরাই মিশুক ও অটোরিকশা বেচাকেনা চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাঁরা ঢাকা জেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি যাওয়া মিশুক ও অটোরিকশা কিনে অন্যের কাছে বিক্রি করে থাকেন। তাঁরা কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন খোলামোড়া মডেল লেন মোশারফ হোসেনের বাড়িতে ভাড়া নেওয়া রিকশা গ্যারেজে আরও ৪টি চোরাই মিশুক বিক্রির জন্য রেখেছেন। এ ছাড়া তাঁদের চক্রের সদস্য পিয়ার আলীর গ্যারেজে ২টি, মো. আরিফুল ও রিপন শেখ ওরফে জামাল শেখের কাছে ১টি, দ্বীন ইসলামের কাছে ৩টি ব্যাটারিচালিত চোরাই মিশুক বিক্রির জন্য রাখা আছে।

পরে বাচ্চুর দেওয়া তথ্যমতে কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর, খোলামোড়া, লাখিরচর ও ব্রাহ্মণকিত্তা এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে আরিফুল (৩০), রিপন শেখ ওরফে জামাল শেখ (৪০) ও দ্বীন ইসলামকে (৪২) গ্রেপ্তার করে তাঁদের হেফাজত থেকে আরও ১০টি চোরাই মিশুক উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার মিশুকের মোট মূল্য অনুমান ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে।